দেশজুড়ে চলতে থাকা একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসার(communal violence) ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে নিরব প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister) নরেন্দ্র মোদিকে(Narendra Modi)। দেশের প্রধানমন্ত্রী এহেন নীরবতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবার যৌথ বিবৃতি দিলেন বিরোধী দলের নেতৃত্বরা(opposition leaders)। ভয়াবহ এই অশান্তি সরে গিয়ে যাতে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকে তার জন্য বার্তা দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধী, শরদ পাওয়ার, হেমন্ত সোরেন সহ ১৩ জন বিরোধী নেতৃত্ব।

যৌথ বিবৃতিতে বিরোধী নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ”খাবার, পোশাক, বিশ্বাস, উৎসব, ভাষা নিয়ে একটা শ্রেণি সমাজে যেভাবে মেরুকরণ করছে, তাতে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। যেভাবে দেশে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, তাতে আমরা গভীরভাবে চিন্তিত। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে যেভাবে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে, তার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি…সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির যেভাবে অপব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে আমরা বেদনাহত…”। শুধু তাই নয় ওই বিবৃতিতে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানায় নিয়ে বলা হয়েছে, এতকিছু হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা দেখে আমরা স্তম্ভিত। যারা গোলমাল বাধাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে ও উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে তিনি ব্যর্থ। সেই সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে বলা হয়েছে, যাতে সকলে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখেন। শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলের যে একজোট হওয়া প্রয়োজন, সে বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

Opposition leaders including Sonia Gandhi, Sharad Pawar, Mamata Banerjee, MK Stalin, Hemant Soren, Tejashwi Yadav and others issue joint appeals to people to maintain peace and harmony and demand stringent punishment for perpetrators of communal violence pic.twitter.com/o4AnWlR9Gy
— ANI (@ANI) April 16, 2022
আরও পড়ুন:উপনির্বাচনে খারাপ ফলের জন্য দায়ী রাজ্য নেতৃত্বই! তৃণমূলের থেকে অনেক শেখার আছে: সৌমিত্র

প্রসঙ্গত, রামনবমীকে কেন্দ্র করে দেশের নানা প্রান্তে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি ঝাড়খন্ডের লোহারডাগায় অশান্তিতে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রায় ১২ জন জখম হন বলে দাবি। অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটনা ঘটেছে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের খারগোন এলাকায়। রাম নবমীতে হিংসার ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্র ও উত্তরপ্রদেশেও। লাগাতার এহেন সাম্প্রদায়িক হিংসা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন বিরোধী নেতৃত্বরা। তারচেয়েও চিন্তার প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্চর্যজনক নীরবতা।