হাতের মুঠোয় শিক্ষা: এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন

শিক্ষার পথে এক পা করে এগিয়ে বাংলা। শিক্ষার আলো পৌঁছে গেছে বাংলার কোণায় কোণায়। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শিক্ষা কোনো সীমিত পরিমণ্ডলে আবদ্ধ নয়। গ্রামবাংলার বুকে এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন- এর নাম। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শহরমুখী না হয়ে বিরূপ পথে এগিয়ে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং বিধানসভার অন্তর্গত তেমাথানি তে।

আজকের দিনে জ্ঞাপন ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা অপরিহার্য। ইংরেজি মাধ্যমের একটি স্কুল দিয়ে শিক্ষার প্রয়াস ঘটায় এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন। মাত্র পাঁচজন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ২০০১সালের ১লা জুলাই-এ যাত্রা শুরু হয় এমএনএম মেমোরিয়াল হাই স্কুল-এর হাত ধরে, যার বিস্তার আজ হাজারে ছাড়িয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা মির্জা শামসুল হোসেন- এর মতে, ইংরেজির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকা সমাজের অনগ্রসর এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। বহু প্রতিভাবান শিক্ষার্থী শুধুমাত্র ইংরেজি না জানার কারণে একটি চমৎকার কর্মজীবন থেকে বঞ্চিত যাতে না হয় এবং প্রতিযোগিতামূলক পেশায় ও যোগাযোগমূলক এবং সৃজনশীল কাজে গ্রহণযোগ্যতা সমানভাবে অর্জন করে- এটিই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে বহু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার অগ্রগতিতে শুধুমাত্রই শহরতলীকে বেছে নিয়েছে সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী হয়ে মোকাবিলা করেছে এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন।

এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র বিদ্যালয়তেই থেমে থাকেনি, ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে উজ্জল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখতে পারে আর দায়িত্বসহকারে সেই স্বপ্নপূরণের ভার তুলে নিয়েছে এডুকেশন সংস্থাটি। এমএনএম মেমোরিয়াল হাই স্কুল-এর প্রধান শিক্ষিকা মোনালিসা সেন পাল- এর কথায়, “এই স্কুলটি ইংরেজি ভাষা দক্ষতা ব্যবস্থাপনার উপর খুব বেশি জোর দিয়েছে যা দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হয়। আমাদের স্কুলের বিজ্ঞান গবেষণাগার এবং আমাদের লাইব্রেরির লক্ষ্য তরুণদের মধ্যে একটি তীক্ষ্ণ বুদ্ধিবৃত্তিক কৌতূহল তৈরি করা। এই বিদ্যালয়টি একটি মডেল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পরিণত করাই আমাদের স্বপ্ন। প্রতিষ্ঠাতা মির্জা শামসুল হোসেন বুঝতে পেরেছিলেন যে কিভাবে গ্রামীণ জনগণের পাশাপাশি অনগ্রসর শ্রেণী এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় সব সময় ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষার সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই নিজ এলাকায় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল স্থাপনের স্বপ্ন ছিল তাঁর মনে। তাই তাঁর পিতা মরহুম মির্জা নুর মোহাম্মদ স্মরণে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরে এমএনএম মেমোরিয়াল হাই স্কুল নামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। রাজ্য এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে শিশুরা এখানে শিক্ষাগত উৎকর্ষের জন্য আসছে যা তাদের কর্মক্ষেত্রে পেশাদার এবং সামাজিক কল্যাণের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী করে তুলবে।”

নার্সারি থেকে প্রাক-প্রাথমিক এবং তারপর উচ্চ মাধ্যমিক- তারপর ভিন্ন বিভাগে পড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। প্রতি ছাত্র-ছাত্রী পিছু এককভাবে শিক্ষকের নজর, বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক শিক্ষিকা বি.এড এবং মন্টেসরি ট্রেনিংপ্রাপ্ত, অডিও- ভিসুয়াল ক্লাস এছাড়াও যোগা, নৃত্য, সংগীত, ভিন্নরকম- এর খেলাধূলা, ক্যারাটে, আঁকা এবং সাধারণ জ্ঞানের ওপরও জোর দেওয়া হয়। সি. আই.এস.সি. ই অনুমোদিত বিদ্যালয়টি পশ্চিমবঙ্গ সরকার থেকে স্থায়ী এন ও সি পেয়েছে ২০০১ সালে। যাতায়াত পরিষেবা, মেডিক্যাল চেক আপ, কম্পিউটার এডুকেশন, লাইব্রেরি, হোস্টেল সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

শুধুমাত্র শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এবং সমাজের সর্বস্তরের পড়ুয়াদের সাথে ইংরেজি ভাষাকেও পরিচয় করাতে অভিনব উদ্যোগ এই প্রতিষ্ঠানের। ফলে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর মিলবে এই প্রতিষ্ঠানের দরবারে। আগামীদিনে আরও প্রশস্ত হবে এই প্রতিষ্ঠানের ছায়া। অন্তত শিক্ষার ক্ষেত্রে শহরের বুকে জ্বলজ্বল করবে গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়ারা, যাদের একরাশ স্বপ্নপূরণের এক অন্যতম কারণ হিসাবে অগোচরে থেকে যাবে এমএনএম গ্রুপ অফ এডুকেশন-এর নাম।

আরও পড়ুন- আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া-ইস্তফা, অমিতাভ সহ একাধিক নেতাকে তলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের

Previous articleআসানসোল লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া-ইস্তফা, অমিতাভ সহ একাধিক নেতাকে তলব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের
Next articleUttarpradesh Murder- Suicide: রক্তে ভাসছে ঘর, বারান্দায় ঝুলছে দেহ! প্রতিবেশীর চক্ষু চড়কগাছ