দেশের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ১৪.৫৫ শতাংশ, যুদ্ধের ঘাড়ে দায় ঠেলল মোদি সরকার

মোদি জামানায় লাগাতার বাড়তে থাকা মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাকাল দেশবাসী। সোমবার দেশের ভয়াবহ সেই মুদ্রাস্ফীতির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনল কেন্দ্রীয় সরকার(Central Govt)। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বাড়তে বাড়তে গত মার্চ মাসে দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি(Wholesale Inflation) বেড়ে ঠেকেছে ১৪.৫৫ শতাংশে। এই সঙ্খ্যাটাই গত ফেব্রুয়ারি মাসে ছিল ১৩.১১ শতাংশ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকা এই মূল্যবৃদ্ধি দেশের সাধারণ জনগনের জন্য ‘ভয়াবহ’ বললেও কম বলা হয়। আর অদ্ভুতভাবে এই মুদ্রাস্ফীতির সম্পূর্ণ দায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের(War) ঘাড়ে চাপিয়েছে মোদি সরকার।

সরকারের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেখানে দেখা গিয়েছে, একটানা ১২ মাস দেশের মুদ্রাস্ফীতি ডবল ডিজিটে রয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি সব্জি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার সামান্য একটু কমেছে তবে সঙ্খ্যাটা ভয় ধরানোর জন্য যথেষ্ট। তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে পাইকারি সব্জির বাজারে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২৬.৯৩ শতাংশ যা মার্চে কমে হয়েছে ১৯.৮৮। পাশাপাশি সরকারি রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, মার্চ মাসে উত্পাদিত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি ১০.৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ৯.৮৪ শতাংশ ছিল। জ্বালানি এবং বিদ্যুতের ক্ষেত্রে, মার্চ মাসে এর বৃদ্ধির হার ছিল ৩৪.৫২ শতাংশ। অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম মূল্যস্ফীতি ফেব্রুয়ারিতে ৫৫.১৭ শতাংশ থেকে মার্চ মাসে ৮৩.৫৬ শতাংশ বেড়েছে।

আরও পড়ুন:কুরুচিকর আক্রমণ: কুণালের মামলায় আরও বেকায়দায় শুভেন্দু

এদিকে সরকারের তরফে অবশ্য মূল্যবৃদ্ধির দায় যুদ্ধের ঘাড়ে চাপিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে মুদ্রাস্ফীতির বাড়ার কারণ মূলত অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, ধাতু ইত্যাদির দাম বৃদ্ধি। রাশিয়া ও ইউক্রেন সংকটের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। যার জেরে মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে। তবে মোদি জমানায় যেভাবে মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে চলেছে তাতে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশের সাধারণ মানুষকে।




Previous articleBengal: কেরলের বিরুদ্ধে জয়ের ব‍্যাপারে আশাবাদী বাংলা
Next articleযান্ত্রিক ত্রুটি: দীর্ঘক্ষণ ব্যাহত মেট্রো পরিষেবা, নাজেহাল যাত্রীরা