সদ্য ১৯-এ পা দিয়েই কলকাতা সেরা সৌমাল্য

মায়ের হাত ধরেই শুরু পথচলা। ছোটবেলা থেকেই নানারকম ডিবেটে অংশ নিতে উৎসাহ জাগিয়েছিল মা।থিয়েটার, সাঁতার, ডিবেট ,পাবলিক স্পিকিং ফোরামে অংশ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সমান গুরুত্ব দিয়ে চলছিল পড়াশুনোও। স্কুলের মার্কশিটে প্রথম সারির ছাত্রদের তালিকাতেই সবসময় নাম থাকত সৌমাল্যর। এইসবের মধ্যেই গ্ল্যামার ওর্য়াল্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। ভালোলাগা থেকেই মডেলিং জগতে পা। আর তারপর ধীরে ধীরে উন্নতির শিখরে উঠে জিতে নিল মিস্টার কলকাতার খেতাব।



আরও পড়ুন: WHO প্রধানের নতুন নাম দিলেন মোদি, টেড্রোস হলেন ‘তুলসীভাই’


মাত্র ১৯ বছর বয়স সৌমাল্যর। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে পা দিয়েছে। নববর্ষের আগে হঠাৎই মাসি মিস্টার কলকাতাতে অডিশনের ফর্ম এনেছিল। কিন্তু ফর্ম জমা দিলেও তখনও বিশ্বাস হয়নি মিস্টার কলকাতার খেতাব পাবে  সৌমাল্য। ১ হাজার ফর্মের মধ্যে ২০ জনের সিলেকশনে তাঁর নাম উঠে আসে। তারপর আরও তিন রাউন্ড। সেখানেও ভালোভাবে উত্তীর্ণ হয় সৌমাল্য। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেখানে ৫ জনের মধ্যে বাছাই করে নেওয়া হয় সৌমাল্য বিশ্বাসকে। বিভিন্ন ডিবেটে অংশ নিলেও মডেলিং জগতে সেভাবে কোনও অভিজ্ঞতা না থাকায় সৌমাল্যকে মোস্ট ট্যালেন্টেড মিস্টার কলকাতার খেতাব দেওয়া হয়। যা তাঁর জীবনে এক অন্যতম সাফল্য এনে দিয়েছে।




বছর ১৯-এর সৌমাল্য এখন কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করছে। কিন্তু মিস্টার কলকাতা খেতাব জয়ের পর তাঁর জীবন খানিকটা হলেও পাল্টেছে। এখন বিশ্ববাংলা সংবাদকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সৌমাল্য জানান, ‘A rolling stone gathers no moss’। জীবনে যখন আচমকাই এতটা সাফল্য এসেছে, তখন তাকে কাজে লাগাতে চায় সৌমাল্য। তাই এখন পড়াশুনোর পাশাপাশি মডেলিং ও বিনোদন জগতেও সাফল্য পেতে চায় সে। সফলতার শিখরে এখনও পৌঁছনো বাকি। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করতে আগ্রহী সে। প্রথমে যদি তা না আসে, তাতে কুছ পরোয়া নেহি। সৌমাল্যর কথায়, ‘আমরা কখনও হারি না। বরং প্রতিটা পদক্ষেপ মানুষকে নতুন শিক্ষা দেয়।’

Previous articleVirat Kohli: বিরাটকে রানে ফিরতে কী পরামর্শ দিলেন রবি শাস্ত্রী
Next articleগোয়েঙ্কাকে সম্মান নতুন কমিটির, মোহনবাগানের নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ সরানোর প্রক্রিয়া শুরু