Sunday, August 24, 2025

পলিটেকনিকের ভুয়ো ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত ফিটার মিস্ত্রী”, ফের তথাগতর নিশানায় দিলীপ

Date:

রাজ্য বিজেপিতে তথাগত রায় আর দিলীপ ঘোষের সাপে-নেউলে সম্পর্ক কারও অজানা নয়। একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির পর টুইট বাণে দিলীপ ঘোষকে জর্জরিত করছেন তথাগতবাবু। দিলীপ ঘোষকে বারেবারে ‘ফিটার মিস্ত্রি’ বলে সম্মোধন করে থাকেন তথাগত রায়।

আবার তার পাল্টা বিবৃতি দিয়ে তথাগতকে ‘‌ফালতু লোক’‌ বলে আক্রমণ করেছেন দিলীপবাবু। সম্প্রতি, সংবাদ মাধ্যমের সামনে তথাগত রায় সম্পর্কে দিলীপ ঘোষের মূল্যায়ন, “যাদের কোনও কাজকর্ম নেই, তাঁরাই সারাদিন বসে টুইট করে। ওসব ফালতু লোককে পাত্তা দিই না। রাজ্যের কোনও পঞ্চায়েত ভোটে জেতার ওর ক্ষমতা নেই।”

নাম না করে ফের ফিটার মিস্ত্রি বলে দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করলেন তথাগত রায়। এবার একটি টুইটে বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা লিখছেন, “আমার এক বন্ধু বলেছেন আমি নাকি ফিটার মিস্ত্রিদের অপমান করেছি। কখনোই না। কিন্তু যদি অজান্তেও করে থাকি, তাহলে তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।।”

টুইটে এর পরই নাম না করে দিলীপ ঘোষকে ঠুকে তথাগত রায়ের সংযোজন, “কিন্তু যে ফিটার মিস্ত্রীটি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মিথ্যা এফিডেভিট করে নিজেকে ঝাড়গ্রাম পলিটেকনিকের ডিপ্লোমাপ্রাপ্ত বলে লিখেছিলেন, এবং যা ওই পলিটেকনিক অস্বীকার করেছে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্ন নেই। কারণ মিথ্যা এফিডেভিট করা একটি দণ্ডযোগ্য অপরাধ।”

অর্থাৎ তথাগত রায় পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দিলীপ ঘোষ একজন মিথ্যুক। ভাঁওতা। যিনি পলিটেকনিকের ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তিনি আইনের চোখেও অপরাধী। তাই প্রকৃত ফিটার মিস্ত্রিরা যদি অজান্তে তাঁর কোনও মন্তব্যে দুঃখ পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মতো ভুয়ো ডিগ্রিধারীর কাছে কখনোই ক্ষমা চাইবেন না।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version