Sunday, November 9, 2025

ফের রাজ্য নেতৃত্বের উপর ক্ষোভে বিস্ফোরক টুইট অনুপম হাজরার, সঙ্গে পরামর্শ

Date:

বিজেপির ধারাবাহিক মুষল পর্বের মধ্যে কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের রাজ্য নেতৃত্ব উপর ক্ষোভ উগরে বিস্ফোরক টুইট করলেন সর্বভারতীয় জাতীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। রাজ্য নেতৃত্বকে তোপ দেগে অনুপম লিখলেন, “আত্ম অহংকার ছাড়ো, আত্মবিশ্লেষণ করো…!!! পুরনো মানুষগুলো ধীরে ধীরে তলিয়ে যাচ্ছে, হারিয়ে যাচ্ছে…!!!” এরপরই রাজ্য নেতাদের উদ্দেশে অনুপমের পরামর্শ, “… মিলে মিশে করি কাজ, হারি-জিতি নাহি লাজ!!!”

অর্থাৎ, বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব শুধুমাত্র সমালোচনা করার জন্যই সমালোচনা করে। নিজেদের লাগাতার ব্যর্থতার আত্মবিশ্লেষণ বা আত্মসমালোচনা করে না, সেটা আরও অনেকের মতই উপলব্ধি করলেন অনুপম হাজরা।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের একের পর এক ভোটে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। এমনকি সদ্যসমাপ্ত উপ লনির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেল জেতা আসানসোল হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির। আর বালিগঞ্জে জামানত বাজেয়াপ্ত। এরপরই গত রবিবার ফেসবুক লাইফে মুখ খোলেন বিজেপির জাতীয় নেতা অনুপম হাজরা । শুধু তাই নয়, ইঙ্গিতে রাজ্য নেতৃত্বকেই দোষেন অনুপম। বিস্ফোরক মন্তব্যে করে বলেন, “আমাদের মতো পুরনো কর্মীরা শুধু মার খাওয়া আর জেলে যাওয়ার জন্য। বিজেপিকে আমি তিনটে পর্যায়ে ভাগ করেছি। একটা ২০১৯ সালের আগে, সেটা ছিল বিজেপির কঠিন সময়। তখন কেউ ভাবতেই পারত না বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা। সেই সময় আমাদের মতো কয়েকজন এসেছিল। ২০১৯ এর লোকসভায় ১৮ টি আসন জেতার পর এল বিজেপির সুসময়। সেই সময় প্রচুর সুবিধাবাদী মানুষ এসেছেন। তাঁদের জামাই আদর করা হয়েছে। চার্টার্ড ফ্লাইটে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ২০২১-এর পর তাঁদের গলায় উল্টো সুর! আর আমার মতো কয়েকজন আছি, যারা দলের খারাপ সময়ে ছিলাম। কিন্তু আচমকা কিছু লোক এসে ক্ষীর খেয়ে চলে গেল। বিধানসভা নির্বাচনের সময় আমরা ছিলাম দর্শক। রাজ্য নেতৃত্বকে মতামত জানিয়ে ছিলাম। শোনা হয়নি। রাজ্য বিজেপিতে কথা বলার জায়গাই নেই। তবে পুরনো একনিষ্ঠ কর্মীরা কেন চলে যাচ্ছে, তা দলের দেখা উচিত।” অর্থাৎ তাঁর দাবি, দলে নতুনদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, পুরনো কর্মীদের কাজেই লাগানো হয়নি।

এদিকে অনুপমের মন্তব্যের সমর্থন করেছেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথা সর্বভারতীয় বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছিলেন, “ঠিকই বলেছেন। উনি কেন্দ্রীয় নেতা, এখানকার নেতাদের পরামর্শ দেওয়া ওনার কাজ। এখানে কী হচ্ছে, সেটাও জানানো উচিৎ কেন্দ্রে। উনি পরামর্শ দিতে পারেন যাতে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত হয়।” এখানেই শেষ নয়, বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতির সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে সরাসরি দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “উনি নতুন এসেছেন। অভিজ্ঞতা কম। সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। পুরনো যোগ্য লোকেদের ফিরিয়ে আনতে হবে।”

আরও পড়ুন:ভারত নিজের ভালো বোঝে: ফের দিল্লির বিদেশনীতির প্রশংসায় ইমরান

 

 

Related articles

‘ভূত বিড়াল’ কি শুধুই কল্পনার কাহিনী? বাস্তবে কোথায় দেখা গেল চাঁদনি রাতের বিড়াল

কালো নয়। ডোরা কাটাও নয়। বন বিড়াল। তবে সাদা। দেখা যায় শুধুই চাঁদনি রাতে। মানুষের থেকে ভূতের সঙ্গেই...

ইডেনে ব্যাটিংয়ে জোর দিতে চান গম্ভীর! ভাবনায় দুই কিপার

চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে নামছে ভারত। ইডেনের প্রথম ম্যাচে ভারতীয় দলের প্রথম একাদশ কেমন...

SIR আতঙ্কে সন্তানকে নিয়ে বিষ খেলেন মা! পরিবারের পাশে তৃণমূল

নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, না নেই। রাজ্যজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সেই আতঙ্ক ক্রমশ স্পষ্ট। বিহারের উদাহরণ...

জাত-পাতের ভাগ করে রাজনীতিকরা! জাতিভেদ তুলে দিতে সরব মোহন ভাগবত

ভারতে রাজনৈতিক কারণে জাত-পাত নিয়ম বর্তমান। এবার সরব আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। আদতে দেশের রাজনীতিতে মানুষের সমান অধিকার...
Exit mobile version