জঙ্গলমহলে মাও গতিবিধি নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্টে আশঙ্কা! নবান্নে জরুরি বৈঠক চার রাজ্যের

মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের নবান্ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবরা

জঙ্গলমহলে বাম আমলের সেই ভয়ঙ্কর দিনগুলি কি ফিরতে চলেছে? সেটা বলার সময় এখন না এলেও নতুন করে জঙ্গলমহলে মাও গতিবিধি যে বাড়ছে, গোয়েন্দা রিপোর্টেও তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। তা বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠকে বসেছিল মাওবাদীদের টার্গেটে থাকা চার প্রতিবেশি রাজ্য। এবং এদিনের সেই বৈঠকে থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।

মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় কাউন্সিলের নবান্ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার এবং ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবরা। আলোচনায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফের সংগঠন বাড়াচ্ছে মাওবাদীরা। বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডের পর এবার পশ্চিমবঙ্গেও রিগ্রুপিংয়ের চেষ্টা করছে তারা। এই পরিস্থিতিতে সীমানাবর্তী এলাকায় নজরদারি বেশ কয়েকগুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য প্রশাসনগুলো।

ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায় মাওবাদীদের ব্যানারে পোস্টার পড়েছে। যেখানে প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এমনকী, রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যুর বদলা নেওয়া হবে বলেও পোস্টার দেওয়া হয়েছে।

তবে এই পোস্টারগুলি যে প্রকৃত মাওবাদীরাই দিয়েছে, তার প্রমাণ এখনও মেলেনি। কিন্তু বিষয়টিকে কোনওভাবেই অগ্রাহ্য করতে রাজি নয় রাজ্য প্রশাসন। মাও সক্রিয়তা যাতে নতুন করে না বাড়ে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।

আরও পড়ুন- বিকাশরঞ্জনকে ‘বহিরাগত’ বলে সভায় ঢুকতে আপত্তি!