ফের নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে বিতর্ক। মন্দিরে রাখা চিতাভস্ম এনে পারলৌকিক ক্রিয়া না কি ডিএনএ টেস্ট- (DNA Test) এই নিয়েই এখন তরজা তুঙ্গে। আর এই দড়ি টানাটানির এক পাশে নেতাজির পরিবারের অন্যতম সদস্য চন্দ্রকুমার বসু (Chandra Kumar Bose) ও অন্যদিকে নেতাজি সম্পর্কিত গবেষক, লেখক ও ইতিহাসবিদ চন্দ্রচূড় ঘোষ (Chandrachur Ghosh)।

জাপান থেকে চিতাভস্ম এনে শ্রাদ্ধ করতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন নেতাজি পরিবারের সদস্য তথা বিজেপি নেতা চন্দ্র বসু। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে, তাইহকু বিমানবন্দরে সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhas Chandra Bose) যে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে- সে বিষয়ে তিনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন? এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বসু পরিবারেরই অন্যতম বরিষ্ঠ সদস্য জয়ন্তী রক্ষিত। আর নেতাজি -গবেষক চন্দ্রচূড় ঘোষের অভিযোগ, চন্দ্র বসু রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এই কাজ করতে চাইছেন।

তাইওয়ান সরকার দুর্ঘটনার কথা অস্বীকার করা সত্ত্বেও কেন সেই তত্ত্বে অনড়? বেসরকারি হাতের লেখা বিশেষজ্ঞদের মত কেন উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? কেন মুখার্জি কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছিল, তা মানা হয়নি? কেন গুমনামী বাবার ডিএনএ পরীক্ষার ইলেকট্রোফেরোগ্রাম সিএফএসএলকে বলে সামনে আনা হচ্ছে না? এইরকমই একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন চন্দ্রচূড় ঘোষ। এমনকী, ডিএনএ টেস্টেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি। নেতাজি গবেষক বলেন, ফাইল প্রকাশের ৬ বছর পরে কী এমন তথ্য মিলল যে, প্রমাণিত হল বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:শ্রীনগরে কাজে গিয়ে গুলিবিদ্ধ মালদহের দুই যুবকের স্বাস্থ্যের খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী

চন্দ্র বসুর তথ্য মানছেন না নেতাজি পরিবারের আরেক সদস্য অশোকনাথ বসুর কন্যা জয়ন্তী রক্ষিত। চন্দ্র বসুকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”বিজেপিতে পাত্তা পায় না বলে শুনেছি। পারিবারিক প্ল্যাটফর্ম থাকা সত্ত্বেও তেমন কিছু করতে পারল না।” কেন্দ্রের ফাইল প্রকাশের পর নরেন্দ্র মোদির পাশে থেকেই তাঁরা দেখেছিলেন জওহরলাল নেহরুর চিঠি। যেখানে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু হয়েছে এমন কোনও প্রমাণের কথার উল্লেখ নেই। ফলে চন্দ্র বসুর দাবি ও চন্দ্রচূড় ঘোষের যুক্তিতে ফের সরগরম নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য।
