“মমতাদির উপর আস্থা রাখুন, সরকার আপনাদের শত্রু নয়”, চাকরিপ্রার্থীদের অবস্থান মঞ্চে বার্তা কুণালের

সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু সমস্যাগুলি নিয়ে অহেতুক রাজনীতি হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে

এবার আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের একান্ত অনুরোধে তাঁদের কথা শুনলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। যেহেতু এই মুহূর্তে তিনি শুধুমাত্র শাসক দলের পদাধিকারী, রাজ্য সরকারের কোনও কোনও অংশ নন, তাই নিজের এক্তিয়ারের মধ্যে থেকে বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আশ্বাসও দিলেন।

একইসঙ্গে কুণাল ঘোষ চাকরি প্রার্থীদের জানান, রাজ্য সরকার খুব আন্তরিকতার সঙ্গে চাইছে সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু সমস্যাগুলি নিয়ে অহেতুক রাজনীতি হলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে উঠবে। কুণালের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা রাখুন। নিশ্চয়ই সব জটিলতা কাটিয়ে সমস্যার সমাধান হবে।

কিন্তু হঠাৎ কেন চাকরি প্রার্থীদের মুখোমুখি তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ?

চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে কাকতলীয় এই সাক্ষাতের বিষয়টি নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কুণালের কথায়, “প্রেস ক্লাবের একটি অনুষ্ঠান সেরে বেরোচ্ছিলাম। দেখি কয়েকজন দাঁড়িয়ে। কথা বলবেন। এস এস সি চাকুরিপ্রার্থী। কর্মশিক্ষা ও শরীরশিক্ষা বিভাগ। তাঁরা কিছু বলতে চাইলেন, চিঠি দিতে চাইলেন। কথা বললাম। চিঠি নিলাম। শহিদ মিনারের কাছে তাঁরা অবস্থান করছেন। অনুরোধ করলেন তাঁদের অবস্থান প্রাঙ্গণে যাওয়ার জন্য। তাঁদের সঙ্গেই গেলাম। বসলাম। রোজার পর ইফতার। তাঁদের অনুরোধে ওখানেই ইফতার হল। আলোচনাও হল। বললাম, সরকারকে শত্রু ভাববেন না। জট কোথায়, সেটা দেখতে হবে। এত বড় সিস্টেমে মুষ্টিমেয় দুচারজনের তরফে কোথাও কিছু হলে তার জটিলতায় আপনাদের ভুগতে হয় সরকারকেও। মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন। তাঁরাও মুখ্যমন্ত্রীর উপর আস্থা জানালেন। বললাম, আপনাদের সমস্যা সমাধানের আমি কেউ নই। কিন্তু যা যা বললেন, যে চিঠি দিলেন, যথাযথ জায়গায় পৌঁছে দেব। তবে সরকারের সামনে কী কী সমস্যা আছে, তা না জেনে এবিষয়ে আমার কথা বলা কঠিন। যাঁরা বহু প্রতিকূলতার মধ্যেও অবস্থানে, তাঁদের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা হল। আমার যেটুকু কর্তব্য, আমি পালন করব।’

পরে সংবাদ মাধ্যমকে কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছিলাম। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানের এক্তিয়ার আমার হাতে নেই। তবে তাঁরা আস্থা রাখতে পারেন, যথাযথ জায়গায় কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।”

তবে কুণাল এও জানান, “এটাও বুঝতে হবে যে, সরকার ইচ্ছা করলেই নিয়মনীতি বা মামলা কি অবস্থায় আছে, তা না জেনে কোনও প্রতিশ্রুতি দিতে পারে না। তবে মমতাদির উপর ভরসা রাখুন। আস্থা রাখুন। আমি বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাব।”

আরও পড়ুন- বাবুলের শপথে অনুমতি রাজ্যপালের: স্পিকার নয়, দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে

 

Previous articleবাবুলের শপথে অনুমতি রাজ্যপালের: স্পিকার নয়, দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে
Next articleবিচারব্যস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরব মুখ্যমন্ত্রী, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও