প্রয়াত হলেন বাচিক শিল্পী পার্থ ঘোষ। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন । শনিবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন শিল্পী। বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। শ্রী গৌরী ঘোষ আগেই গত হয়েছেন । স্ত্রীর প্রয়াণের পর থেকে পার্থবাবুর শরীর আর কিছুতেই ভালো হচ্ছিল না । শেষে আজ ধরাধাম থেকে চিরবিদায় নিয়ে আবার স্ত্রীর কাছেই ফিরে গেলেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে তাঁর দেহ দমদমের এসপি মুখার্জি রোডের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। নিমতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পার্থ। গলায় অস্ত্রোপচার হয়েছিল। হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার ভোরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন প্রবীণ বাচিকশিল্পী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্থ ঘোষের প্রয়াণে গভীর শোক জ্ঞাপন করেছেন। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করেছেন। তাঁর আত্মীয় পরিজন এবং অনুরাগীদের সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রেডিয়োতে উপস্থাপক হিসেবে আবৃত্তিকার দম্পতি পার্থ ও গৌরী ঘোষের পেশাজীবন শুরু। দীর্ঘ দিন তাঁরা আকাশবাণী কলকাতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ‘শেষ বসন্ত’ পার্থ ঘোষের কণ্ঠে বিশেষ সমাদৃত হয়েছিল। একই সঙ্গে জনপ্রিয় হয় রবীন্দ্রনাথেরই ‘দেবতার গ্রাস’, ‘বিদায়।’ এ ছাড়া গৌরীর সঙ্গে বেশ কিছু শ্রুতিনাটক ‘প্রেম’, ‘জীবন বৃত্ত’, ‘স্বর্গ থেকে নীল পাখি’ স্মরণে রাখার মতো।
পার্থবাবু পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন । পশ্চিমবঙ্গ ২০১৮ সালে তাকে বঙ্গভূষণ সম্মাননা প্রদান করে । বাচিক তথা আবৃত্তি শিল্পী হিসেবে চিরকাল তিনি বাঙালির হৃদয়ে স্থান পাবেন।
