মঙ্গলেই অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়বে ‘অশনি’

রবিবার সকালেই বঙ্গোপসাগরে জন্ম নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। তারপর থেকেই শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। আলিপুর জানিয়েছে, বর্তমানে ‘অশনি’ সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হলেও আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে।

আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল ‘অশনি’, বঙ্গেও চলবে দাপট

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ মে সন্ধ্যায় অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছবে ‘অশনি’। তারপর সামান্য বাঁক নিয়ে উত্তর দিকে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। তবে কোন পথে স্থলভাগে প্রবেশ করবে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

‘অশনি’-র জেরে কতটা প্রভাব পড়বে রাজ্যে? রবিবার আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে,  মঙ্গল থেকে বৃহস্পতি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১০মে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। সেইসঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। ১১ এবং ১২মে উপকূলবর্তী তিন জেলা পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪পরগনায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ছাড়া বাকি সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং তার সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

তবে বঙ্গে ‘অশনি’-র সরাসরি প্রভাব পড়বে না বলেই জানিয়েছে মৌসম ভবন। যদিও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকায় ‘অশনি’-র সতর্কতা জারি হয়েছে। মাইকিং করে শুরু হয়েছে প্রচার। ,মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিউ দিঘা থেকে খেজুরি অবধি দীর্ঘ ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতট জুড়ে নৌ-বাহিনীর পাশাপাশি নজর রাখতে চলেছে ভারতীয় উপকূলীয় বাহিনী। হলদিয়া থেকে উপকূলীয় বাহিনীর জাহাজে নজর রাখা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর এই বিশেষ দলটি এসেছে বিশাখাপত্তনম থেকে। মোট তিনটি টিম এসেছে। এই দলের অন্যতম সদস্য এক মেরিন কমান্ডো জানিয়েছেন, দু’টি রেসকিউ টিম ও একটি ডাইভিং টিম নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি রাজ্যেরই উপকূল বরাবর এলাকা থেকে সমুদ্রের পাড় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বা নজর দেওয়া হচ্ছে একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। তারপরেও যদি কেউ সমুদ্রে তলিয়ে যান তা হলে এই বিশেষ ডাইভিং টিম উদ্ধার কাজে নেমে পড়বেন।


ইতিমধ্যেই নিউ দিঘা থেকে খেজুরি অবধি দীর্ঘ ৭১ কিলোমিটার সমুদ্রতট জুড়ে নৌ-বাহিনীর পাশাপাশি নজর রাখতে চলেছে ভারতীয় উপকূলীয় বাহিনী। হলদিয়া থেকে উপকূলীয় বাহিনীর জাহাজে নজর রাখা হচ্ছে। নৌ বাহিনীর এই বিশেষ দলটি এসেছে বিশাখাপত্তনম থেকে। মোট তিনটি টিম এসেছে। এই দলের অন্যতম সদস্য এক মেরিন কমান্ডো জানিয়েছেন, দু’টি রেসকিউ টিম ও একটি ডাইভিং টিম নিয়ে আসা হয়েছে। দুটি রাজ্যেরই উপকূল বরাবর এলাকা থেকে সমুদ্রের পাড় থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বা নজর দেওয়া হচ্ছে একাধিক গ্রামের বাসিন্দাদের। তারপরেও যদি কেউ সমুদ্রে তলিয়ে যান তা হলে এই বিশেষ ডাইভিং টিম উদ্ধার কাজে নেমে পড়বেন।

এ ছাড়া একটি ফ্লাড রিলিফ টিম ডায়মন্ড হারবারে স্ট্যান্ডবাই হিসাবে রাখা হয়েছে। এই সব দল গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা, আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা, রিলিফ মেটিরিয়াল পৌছে দেওয়ার কাজ করবে।

Previous articleপ্রত্যাখ্যাত হয়ে তরুণীর বাড়িতে আগুন ‘প্রেমিকের’, ঝলসে মৃত ৭
Next articleTiger Census  : শেষ হল বাঘ সুমারি, উত্তরের জঙ্গলে বসানো হচ্ছে ক্যামেরা