সুড়ঙ্গে জল ঢোকার জন্যই বউবাজারের পরপর বাড়িতে ফাটল, সাফাই মেট্রোর

সুড়ঙ্গে জল ঢোকার জন্যই বউবাজারের একের পর এক বাড়িতে ফাটল ধরেছে এমনটাই দাবি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে মেট্রোর কাজ চলাকালীন ১১টি জায়গা দিয়ে সুড়ঙ্গে ক্রমাগত জল ঢুকছিল। সেই ১১টি উৎসের মধ্যে ১০টি এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে সুড়ঙ্গে জল ঢোকা বন্ধ হলেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। কারণ ক্রমাগত এভাবে জল ঢুকে ঢুকে বউবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বাড়িগুলির ভিতের নীচের মাটি নরম হয়ে যাচ্ছে । আর তার ফলে বসে যাচ্ছে বাড়ি।

কিন্তু কেন এভাবে জল ঢুকল? জল ঢুকলে যে এমন একটি ভয়ঙ্কর বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে তা কী মেট্রো বুঝতে পারেনি? মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে শিয়ালদহ-ধর্মতলা টানেল নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। টিবিএম তোলার পরে অবশিষ্ট মাটি কেটে সিমেন্টের দেওয়াল ও মেঝে বানানোর কাজ চলছিল সমানভাবে। কিন্তু গত কয়েকদিনে কলকাতা শহর জুড়ে ভারী বৃষ্টি হওয়ার দরুন এভাবে জল ঢুকে গিয়েছে । এমনটাই অনুমান মেট্রো ইঞ্জিনিয়ারদের।

এ অবস্থায় পুরনো ভিতের উপর তৈরি বাড়িগুলি কতটা নিরাপদ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এ ব্যাপারে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছে পূর্ত দফতর , বিল্ডিং বিভাগ এবং কলকাতা পুরসভা। মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছে ।

 

দুর্গাপিতুরি লেনের ঘরছাড়া বাসিন্দাদের হোটেলে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে । খুব দ্রুত বাকি বিপদজনক বাড়ির আবাসিকদের ও অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রত্যেকেরই খাদ্য ও বাসস্থানের যথাযথ বন্দোবস্ত হয়েছে বলে দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষের। কিন্তু মেট্রো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন বাসিন্দারা। তাদের দাবি মেট্রো কর্তৃপক্ষ পর্যাপ্ত খাবারের কোনও বন্দোবস্তই করছেন না ।

Previous articleতাজমহলের ২২টি বন্ধ দরজা খোলার আবেদন খারিজ, কী বলল এলাহাবাদ হাইকোর্ট
Next articleটাকা না পেয়ে শীতলকুচিতে খুন ব্যবসায়ী