রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষক নিয়োগের জন্য স্কুল সার্ভিসের মেধা তালিকাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক। মেধা তালিকায় নাম নেই, কী করে হাইস্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেলেন মন্ত্রী-কন্যা? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, স্কুল সার্ভিসে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পিডিএফ ফরম্যাটে মেধা তালিকা প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।

পরবর্তীতে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত আসনের ওয়েটিং লিস্টে দেখা যায় বেশি নম্বর পাওয়া প্রার্থী ববিতা সরকারের নাম চলে গিয়েছে তালিকার বাইরে। আর প্রথম স্থানে রয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। আর সেই কারণেই ওয়েটিং লিস্টে ২০ নম্বরে থাকা ববিতা সরকারের নাম চলে যায় ২১ নম্বরে। অভিযোগ, প্রত্যেকে চাকরি পেলেও ববিতা সরকার চাকরি পাননি।

এই মামলায় গতকাল, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ CBI তদন্তের নির্দেশ দেয়। রাত ৮টার মধ্যে CBI দফতরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। এবার সেই নির্দেশের স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দারস্থ পরেশ অধিকারী এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা। আজ, বুধবার বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী।

আরও পড়ুন:গুমোট গরমে নাজেহাল? কয়েকঘণ্টার মধ্যেই ভিজবে তিলোত্তমা