এড়িয়ে যাওয়া নয়, প্রথম তলবেই হাজিরা। তাও আবার নির্ধারিত সময়ের ৪০মিনিট আগে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে CBI দফতরে পৌঁছে যান বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পাল। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার খুনের তদন্তে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে। আজ, বুধবার সকাল ১১টায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। পরেশবাবু সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ CBI দফতরে পৌঁছে যান।
আরও পড়ুন:পল্লবী মৃত্যুরহস্য: আত্মঘাতী হয়েছিলেন সাগ্নিকের পুরনো প্রেমিকাও
এদিকে, পরেশ পালের আগেই নিহত অভিজিৎ-এর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার চলে আসেন সিজিও কমপ্লেক্সে। তাঁর বক্তব্য, CBI না ডাকা সত্ত্বেও তিনি নিজে থেকেই চলে এসেছেন। পরেশ পালের নির্দেশেই তাঁর ভাই খুন হয়েছেন, তাই CBI পরেশ পালের মুখোমুখি তাঁকে বসিয়ে জেরা করুক।
কিন্তু বিশ্বজিৎবাবুর এমন ভূমিকায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশে CBI তদন্ত শুরু করেছে, আইন আইনের পথে চলছে। পরেশ পাল তদন্তে সহযোগিতা করতে একডাকে চলে এসেছেন। সেখানে বিনা নোটিশে তিনি কেন চলে এলেন বিশ্বজিৎ সরকার? তাহলে কি তদন্তে প্রভাব খাটাতে চাইছেন বিশ্বজিৎ?
উল্লেখ্য, গতবছর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর কাঁকুরগাছিতে হামলা হয় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের উপর। ওইদিনই তাঁর মৃত্যু হয়। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় অভিজিৎ খুনের মামলাটিও। পরিবারের তরফে পরেশ পাল সহ তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। ওই খুনের ঘটনায় পরেশ পালের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতে চায় CBI. সেই কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরেশ পালকে তলব করে CBI. তিনি হাজির হয়েছেন। কিন্তু কেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে সাতসকালে চলে এলেন, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
