Monday, November 3, 2025

বাংলাদেশের বাড়িতে এখনও বিদ্যুতের বিল আসে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাবার নামে

Date:

Share post:

বিপ্লব দেবের পর সদ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা(Manik saha। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাংলাদেশের(Bangladesh) বাড়িতে বাবা মাখনলাল সাহার(Makhanlal Shah) নামে এখনো আসে বিদ্যুতের বিল(electric bill)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ত্রিপুরা(Tripura) ও বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় একটা সময় বাড়ি ছিল মানিক সাহার। যে বাড়ি এখনও সেখানে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মাখনলাল সাহা বন্ধুর সঙ্গে জায়গা বিনিময় করে বাংলাদেশ থেকে চলে আসেন ত্রিপুরার আগরতলায়। এবং আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যান মাখনলাল সাহার বন্ধু নূর মিয়াঁ মালদার। বাড়ি পরিবর্তন করলেও নূর মিয়াঁ ইলেকট্রিক বিলের নাম পরিবর্তন করেননি। ফলে মাখনলাল সাহার নামে আজও বাংলাদেশের বাড়িতে আসে বিদ্যুতের বিল।

মাখনলাল সাহার আদি বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা মহম্মদ শরিফুল ইসলাম মালদার। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমার বাবা নূর মিয়াঁ মালদারের বাড়ি ছিল আগরতলার ধলেশ্বরে। দেশভাগের সময়ে বাংলাদেশে আসার সুবাদে বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মাখনলাল সাহার। আলাপচারিতার মধ্যেই তাঁরা বাড়ি বিনিময় করেন। আমার খুব ভাল লাগছে যে, ভারতে আমাদের যে বাড়ি আছে, আর আমরা যে বাড়িতে থাকি, সেই বাড়ির একজন ত্রিপুরার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।” প্রশ্নের জবাবে আবেগে ভেসে তিনি আরও বলেন, “আমার বাবার কথা অনুযায়ী এখনও বিদ্যুতের মিটারের নামটি বদল করিনি। যখন মাখন কাকার নামে বিদ্যুতের বিল আসে তখনই কাকা ও আব্বার কথা খুব মনে পড়ে। আমি আমার সন্তানদেরকেও বলেছি যেন এ নামটা পরিবর্তন করা না হয়। “

আরও পড়ুন:দলের উর্ধ্বে কেউ নয়: ঝাড়গ্রামের কর্মিসভা থেকে কড়া বার্তা মমতার

শরিফুল আরও বলেন, “আমার ভাই, মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। কয়েক মাস আগেও মাখন কাকার স্বজনরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। বাবার সময় থেকেই আমাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক। যা এখনও আছে।” পাশাপাশি মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর খুশি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবে’র পৈতৃক বাড়িও ছিল বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়ায়।




spot_img

Related articles

ঝুলনকে নিয়েই সাফল্যের উদযাপন স্মৃতিদের, বাঙালির গর্ব বিশ্বকাপজয়ী রিচা

পঙ্কজ রায় থেকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বা ঝুলন গোস্বামী, ক্রিকেট বিশ্বের দরবারে বাংলার মুখ অনেকেই। কিন্তু সৌরভ-ঝুলনদের পাশে ছিল...

মায়ানগরীতেই স্বপ্নপূরণ, এক নজরে ব্যাটে বলে ধামাকাদার ম্যাচের স্কোর বোর্ড

মুম্বইকে বলা হয় মায়ানগরী। কত স্বপ্ন এখানে সফল হয়। এই মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালে ২ এপ্রিল ওয়ানডে...

ক্রিকেটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মেয়েরা: শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীর ও ক্রীড়ামন্ত্রীর

রবিবারের মধ্যরাতে রচিত হল নতুন ইতিহাস। প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতের মহিলা ক্রিকেট ব্রিগেড। ইতিহাস রচনা হওয়ার রাতে ভারতীয়...

দীপ্তি-শেফালিদের হাত ধরেই বিশ্ব জয়ের তৃপ্তি, ইতিহাস সৃষ্টি হরমনপ্রীতদের

বিশ্বসেরা ভারত(India)। মহিলাদের একদিনের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন টিম ইন্ডিয়া। মুম্বই ইতিহাস সৃষ্টি ভারতীয় মহিলা দলের। প্রোটিয়াদের ...