Monday, August 25, 2025

বাংলাদেশের বাড়িতে এখনও বিদ্যুতের বিল আসে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাবার নামে

Date:

বিপ্লব দেবের পর সদ্য ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মানিক সাহা(Manik saha। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এলো এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার বাংলাদেশের(Bangladesh) বাড়িতে বাবা মাখনলাল সাহার(Makhanlal Shah) নামে এখনো আসে বিদ্যুতের বিল(electric bill)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ত্রিপুরা(Tripura) ও বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় একটা সময় বাড়ি ছিল মানিক সাহার। যে বাড়ি এখনও সেখানে রয়েছে। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর মাখনলাল সাহা বন্ধুর সঙ্গে জায়গা বিনিময় করে বাংলাদেশ থেকে চলে আসেন ত্রিপুরার আগরতলায়। এবং আগরতলা থেকে বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যান মাখনলাল সাহার বন্ধু নূর মিয়াঁ মালদার। বাড়ি পরিবর্তন করলেও নূর মিয়াঁ ইলেকট্রিক বিলের নাম পরিবর্তন করেননি। ফলে মাখনলাল সাহার নামে আজও বাংলাদেশের বাড়িতে আসে বিদ্যুতের বিল।

মাখনলাল সাহার আদি বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা মহম্মদ শরিফুল ইসলাম মালদার। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমার বাবা নূর মিয়াঁ মালদারের বাড়ি ছিল আগরতলার ধলেশ্বরে। দেশভাগের সময়ে বাংলাদেশে আসার সুবাদে বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় মাখনলাল সাহার। আলাপচারিতার মধ্যেই তাঁরা বাড়ি বিনিময় করেন। আমার খুব ভাল লাগছে যে, ভারতে আমাদের যে বাড়ি আছে, আর আমরা যে বাড়িতে থাকি, সেই বাড়ির একজন ত্রিপুরার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন।” প্রশ্নের জবাবে আবেগে ভেসে তিনি আরও বলেন, “আমার বাবার কথা অনুযায়ী এখনও বিদ্যুতের মিটারের নামটি বদল করিনি। যখন মাখন কাকার নামে বিদ্যুতের বিল আসে তখনই কাকা ও আব্বার কথা খুব মনে পড়ে। আমি আমার সন্তানদেরকেও বলেছি যেন এ নামটা পরিবর্তন করা না হয়। “

আরও পড়ুন:দলের উর্ধ্বে কেউ নয়: ঝাড়গ্রামের কর্মিসভা থেকে কড়া বার্তা মমতার

শরিফুল আরও বলেন, “আমার ভাই, মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় আমরা বেশ খুশি। কয়েক মাস আগেও মাখন কাকার স্বজনরা আমাদের বাড়ি এসেছিলেন। আমাদের খোঁজ নিয়েছেন। বাবার সময় থেকেই আমাদের মধ্যে আত্মীয়ের সম্পর্ক। যা এখনও আছে।” পাশাপাশি মানিক সাহা ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর খুশি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবে’র পৈতৃক বাড়িও ছিল বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার কচুয়ায়।




Related articles

কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি: দু-মলাটে বাংলার দুর্গোৎসবের ৪৩৪ বছরের ইতিহাস

রবিবাসরীয় সন্ধেয় গড়িয়াহাটের একটি ব্যাঙ্কয়েটে আড্ডার আবহে প্রকাশিত হল সাংবাদিক-লেখক সম্রাট চট্টোপাধ্যায়ের বই 'কলকাতার সর্বজনীন পুজো ডিরেক্টারি'। উপস্থিত...

তৃণমূল–সমাজবাদী পার্টির পথে এবার আম আদমি পার্টি! জেপিসিতে থাকছে না আপও 

সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি।...

মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

দফা এক দাবি এক। লাদাখের জন্য একই দাবিতে আজও অনড় সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচু (Sonam Wangchuk)। লাদাখের জমি, যা...

শান্তিপুরে মহিলা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর ভোটে গোহারা বিজেপি! ২৬-৪-এ জয়ী তৃণমূল 

এসআইআর ইস্যু নিয়ে রাজ্যে বিজেপির মাতামাতির মধ্যে নদিয়ার শান্তিপুরে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্লাস্টার কমিটির নির্বাচনে বড় সাফল্য পেল...
Exit mobile version