বারাণসী আদালতে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভেতরে পাওয়ার শিবলিঙ্গের নিত্য পুজোর আবেদন জানানো হয়েছিল হিন্দুদের পক্ষ থেকে। সোমবার সেই মামলার শুনানি হলো বারাণসী আদালতের অজয় কৃষ্ণ বিশ্বেশের এজলাসে। হিন্দুদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মসজিদটি ১৬ শতকে তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তার আগে এখানে একটি মন্দির ছিল। সেই মন্দির ভেঙেই মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। পাল্টা মুসলিম পক্ষের দাবি হল, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে তৈরি হওয়া উপাসনালয়ের ধর্মীয় চরিত্র অক্ষুন্ন রাখতে হবে। তাতেই মসজিদে হস্তক্ষেপে বাধা দিচ্ছে মুসলিম পক্ষ।
সোমবার বারাণসী আদালতে যে তিনটি পিটিশনের শুনানির কথা ছিল তার মধ্যে দুটি হিন্দু পক্ষের। এবং একটি মসজিদ কমিটির। হিন্দু পক্ষের তরফেই যে আবেদন গুলি জানানো হয় তা হল,
- জ্ঞানবাপী কমপ্লেক্সে শ্রিংগার গৌরির প্রতিদিনের পুজোর অনুমতি।
- জ্ঞানবাপী সমজিদের ওয়াজুখানায় পাওয়া শিবলিঙ্গের পুজোর অনুমতি।
- শিবলিঙ্গের নিচে ঘরের দিকে যাওয়ার পথের ধ্বংসাবশেষের অপসারণ।
- শিবলিঙ্গের দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ জানতি সমীক্ষা।
- বিকল্প ওয়াজুখানার ব্যবস্থা করা ।
অন্যদিকে মসজিদ কমিটির পিটিশন অনুযায়ী,
- ওয়াজুখানা সিল করা যাবে না।
- জ্ঞানবাপী সমীক্ষা বিবেচনা করতে হবে।
- উপাসনার স্থান আইন ১৯৯১ সালের রেফারেন্স সহ মামলা দায়ের।
এদিকে এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের তরফে শুনানির সময় বেঁধে দিয়ে জানানো হয়েছে, আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। ৪ সপ্তাহের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করতে হবে। পাশাপাশি বারাণসী আদালতে তরফে জানানো হয়েছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই মামলায় সমস্ত আইনজীবীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে আদালতের বাইরেও।