কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত

জঙ্গি সংগঠনকে অর্থসাহায্য সহ একাধিক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত ইয়াসিন মালিককে(Yaseen Malik) দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আগেই। বুধবার এনআইএর বিশেষ আদালতে সাজা শোনানো হলো কাশ্মীরের(Kashmir) বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার। এদিন আদালতে তরফে ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ১০ মে দিল্লিতে এনআইএর বিশেষ আদালতে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় ইয়াসিন মালিক। এরপর গত ১৯ মে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে আর্থিক মদত দেওয়ার এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে কাশ্মীরের ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে দোষী সাব্যস্ত করেন বিশেষ আদালতের বিচারপতি প্রবীন সিং। মনে করা হচ্ছিল দোষী ইয়াসিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিতে পারে আদালত। তবে তার আগে এ দিন ইয়াসিনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি তোলে এনআইএ। যদিও এনআইএ-র আবেদন খারিজ করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত ওই নেতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।

উল্লেখ্য, এদিন এনআইএ-র ফাঁসির দাবির বিরোধিতা করে আদালতকে ইয়াসিন মালিক বলেন, বুরহান ওয়ানির এনকাউন্টারের ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন এবং ভারত আমাকে নিজের বক্তব্য পেশ করার অনুমতি দিয়েছে। কারণ আমি অপরাধী নই। এমনকি বিচারক বলেছেন, এই মামলার আগে মালিকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা ছিল না। এনআইএ ১২১ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এই ধারায় ন্যূনতম শাস্তি যাবজ্জীবন।

মালিক আরও বলেন, ১৯৯৪ সালে অস্ত্র ছেড়ে দেওয়ার পরে, আমি মহাত্মা গান্ধীর নীতি অনুসরণ করেছি এবং তারপর থেকে আমি কাশ্মীরে অহিংস রাজনীতি করছি। আদালতে ইয়াসিনের দাবি, আমি যদি ২৮ বছরে কোনো সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকি, ভারতের গোয়েন্দারা যদি তা বলতে পারে, তাহলে আমি রাজনীতি থেকে অবসর নেব, ফাঁসি মেনে নেব। প্রসঙ্গত, ইয়াসিন মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়ন, ভারতীয় বায়ুসেনার কয়েকজন অফিসারকে হত্যা, উপত্যকায় জঙ্গি কার্যকালপে মদত, জঙ্গিদের আর্থিক মদত।




Previous articleGTA নির্বাচনের বিরোধিতায় আমরণ অনশন শুরু বিমল গুরুংয়ের
Next articleভেনম-এর বিকল্প: সাপের কামড়ের চিকিৎসায় ট্যাবলেট, ট্রায়ালে সফল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ