সুইসাইড নোটে শেষকৃত্যর আবেদন প্রশাসনকে! সল্টলেকে উদ্ধার মা -মেয়ের দেহ

জানা গিয়েছে, সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়িতে পাওয়া গেল মা সুপর্ণা ঘোষ এবং মেয়ে স্নেহা ঘোষের নিথর দেহ।

ফের বাড়ি থেকে উদ্ধার হল মা এবং মেয়ের মৃতদেহ (Deadbody)। মা ও মেয়ের এই রহস্যমৃত্যু নিয়ে স্তব্ধ প্রতিবেশীরা। কেউ ভাবতে পারছেন না কেন এমন হল। প্রাথমিকভাবে অনুমান, কীটনাশক(Pesticides)খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা। যদিও এখনও বিষয়টা স্পষ্ট নয়। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে (Post Mortem)পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সল্টলেকে(Saltlake)।

জানা গিয়েছে, সল্টলেকের সিডি ব্লকের ১৭৪ নম্বর বাড়িতে পাওয়া গেল মা সুপর্ণা ঘোষ(Suparna ghosh) এবং মেয়ে স্নেহা ঘোষের(Sneha Ghosh)নিথর দেহ। সুপর্ণাদেবী ও তাঁর মেয়ে স্নেহা এবং গৃহকর্তা স্নেহার বাবা আশিস ঘোষ(Asish Ghosh)থাকতেন এই বাড়িতে। একমাস আগে মারা গিয়েছেন আশিস ঘোষ। মেয়ে বিবাহবিচ্ছেদের পর বহু আগে থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।

কিছুদিন ধরে বিশেষ দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁদের। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল।হয়তো মানসিক অবসাদে(Depression)ভুগছিলেন দু’জনেই যা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন নি কেউ।এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে সুপর্ণাদেবীর বাড়ির তিনতলা থেকে হু হু করে জল বেরতে দেখেন স্থানীয়রা।তখন তাঁরা সুপর্ণাদেবীদের ডাকাডাকি করেন কিন্তু সাড়া মেলেনি। এরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে।

খবর পেয়েই পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান কাউন্সিলর। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকেই চমকে যান তাঁরা। স্নেহার দেহ বিছানায় এবং সুপর্ণার দেহ ঘরের মেঝেতে পড়েছিল।পাশেই পাওয়া গেছে বিষের শিশি। পুলিশ সূত্রের খবর স্বামী আশিস ঘোষের ছবির সামনে রাখা ছিল ২০ হাজার টাকা, যাবতীয় পরিচয় পত্র এবং সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটে প্রতিবেশীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা এবং প্রশাসনের উদ্যোগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করার আবেদন করে গেছেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন মৃতদের প্রতিবেশীরা। শুরু করা হয়েছে তদন্ত। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, চূড়ান্ত অবসাদ থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মা ও মেয়ে।

আরও পড়ুন:GTA নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, একনজরে ভোট প্রক্রিয়ার দিনক্ষণ