মানলাম রাজার মতো যাওয়া, কিন্তু এত তাড়া কী ছিল !

জিৎ গাঙ্গুলি

অমাদের ২২ বছরের অলাপ। সেই ২০০০ সাল থেকে।  বন্ধুত্ব। গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সম্পর্ক। প্রথম দিন থেকে আমাদের হৃদ্যতা। নিয়মানুবর্তিতা , ঘড়ি ধরে চলা কাকে বলে তা কেকে-কে দেখে শিখতে হবে। খুব নিয়ম মেনে চলত কেকে। ঘড়ি ধরে ওঠা, বসা, খাওয়া, ঘুম।  নিয়ম মেনে  রেওয়াজ করত। আবার শরীরচর্চার জন্যও আলাদা সময় বরাদ্দ ছিল।  কোনো ফাঁকি ছিল না।  ৫৪-তেও তরতাজা  ফিট যুবক ছিল। তার কী করে হৃদরোগ হতে পারে? তার কীভাবে হার্টের সমস্যা হতে পারে? সেই মানুষটা কী করে যে এমনভাবে হারিয়ে যেতে পারে, ভাবতেই পারছি না।   এখন অনেকেই বলছেন, এক জন শিল্পীর নাকী এর থেকে ভাল মৃত্যু আর হয় না।  এ নাকী রাজার মতো চলে যাওয়া। কিন্তু এমন যাওয়ার কী দরকার ছিল? কী এমন তাড়া ছিল বন্ধু?

কাল রাতে খবরটা শুনেই দৌড়ে গিয়েছিলাম হাসপাতালে। অন্যরকম কিছু ঘটুক ভাবতে চেয়েছিলাম।  কিন্তু হল না। আমার ২২ বছরের বন্ধু হাসপাতালের শয্যায় চিরঘুমে আচ্ছন্ন। বাইরে দাঁড়িয়ে আমায় সেটা দেখতে হল! এর চেয়ে যন্ত্রণার আর কিছু হতে পারে না।

 

Previous articleজাপানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে ব্রোঞ্জ জয় ভারতের
Next articleসোনিয়া-রাহুলকে ইডির তলব: এবার কী বলবেন অধীর? প্রশ্ন কুণালের