সোনিয়া-রাহুলকে ইডির তলব: এবার কী বলবেন অধীর? প্রশ্ন কুণালের

‘কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে হাতিয়ার করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করে চলেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি’। এ অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বাংলাতেও বারবার দেখা গিয়েছে রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে সিবিআই-ইডিকে ব্যবহারের প্রবণতা। যদিও বাংলায় শূন্য হয়ে যাওয়া হাত শিবির রাজনৈতিক ফায়দা নিতে বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে তৃণমূলকে(TMC) বিব্রত করতে সিবিআইয়ের(CBI) দাবিতে সরব। এমনকি এরাজ্যেও দেখা যায় সিবিআইয়ের দাবিতে অধীর চৌধুরীদের(Adhir Ranjan Chowdhari) মিছিল করতে। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই এবার বুমেরাং হয়ে উঠল কংগ্রেসের জন্য। ইডির তরফে আর্থিক তছরুপ মামলায় তলব করা হল কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতৃত্ব সোনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi) ও রাহুল গান্ধীকে(Rahul Gandhi)। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর এবার প্রদেশ কংগ্রেসের(Congress) দিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh)। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর প্রশ্ন, কেমন লাগছে এখন? এবার কী বলবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি?

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডির তরফে আগামী ২ জুন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। এবং আগামী ৮ জুন হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোনিয়া গান্ধীকে। যদিও রাহুল গান্ধী বর্তমানে দেশে না থাকায় আগামী ৫ জুন হাজিরার জন্য সময় চেয়েছেন। এদিকে এই ঘটনাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছে জাতীয় কংগ্রেস। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এই মামলায় কোনও রকম আর্থিক তছরুপের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে হাতিয়ার করে এই পদক্ষেপ। পাশাপাশি কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন ‘১৯৪২ সালে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল। সেইসময় ব্রিটিশরা (সংবাদপত্রের) কণ্ঠস্বর দমানোর চেষ্টা করেছিল। এখন একই কাজ করছে মোদি সরকার। সেজন্য ইডিকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

অন্যদিকে, এই ইস্যুতে নিজের জালে জড়িয়ে পড়া প্রদেশ কংগ্রেসকে তোপ দাগতে ছাড়েননি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, “এরাজ্যে বিধানসভায় শূন্য পাওয়া কংগ্রেস সভাপতি ইডি ও সিবিআই নিয়ে তাদের অবস্থানটা স্পষ্ট করে বলবেন? কেমন লাগছে এখন? সোনিয়া-রাহুলকে ইডির তলব; স্বাগত জানাচ্ছেন তো এবার? বাংলায় যখন কোনও চিত্রনাট্যে পড়ে ইডি ও সিবিআইকে ব্যবহার করা হয় তখন ইডি ভালো, সিবিআই ভালো, আনন্দে লাফালাফি করেন। আর যখন সোনিয়া রাহুলকে ডাকছে তখন প্রতিহিংসা? এই দুমুখো রাজনীতি করবেন না।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল এখানে লড়ছে বলে ইডি-সিবিআই দিয়ে প্রতিহিংসায় আপনারা সমর্থনের পাশাপাশি বলছিলেন ইডি চাই, সিবিআই চাই। এখন স্বাগত জানান। এখন সোনিয়া-রাহুলকে বলুন, ঠিক করেছে ইডি। দিল্লিতে ইডি গেলে প্রতিহিংসা পরায়ণ আর বাংলায় সিবিআইকে পুজো করবেন। এমনটাতো হতে পারে না।”




Previous articleমানলাম রাজার মতো যাওয়া, কিন্তু এত তাড়া কী ছিল !
Next articleপরপর তিনবার ‘এ’ গ্রেড, নজিরবিহীন সাফল্য লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের