Thursday, August 28, 2025

ছায়াকে ভয়! দলে চর থাকার আশঙ্কা বিজেপি সাংসদ জগন্নাথের, পাল্টা কটাক্ষ কুণালের

Date:

দলের ভিতরে শাসকদলের বেশ কিছু চর রয়েছে। রানাঘাটের বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকারের (Jagannath Sarkar) মন্তব্য ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। দল বিরোধী কথা বলা বঙ্গের বিজেপি নেতাদের প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এর জেরে কয়েকদিন আগেই বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) মুখে লাগাম পরাতে লিখিত নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷ কিন্তু শুধু দিলীপ নন, দলেরই একের পর এক নেতা অস্বস্তিতে ফেলছেন রাজ্য বিজেপি-কে। দলের মধ্যে কোন্দল এই পর্যায়ে পৌঁছেছে নিজের ছায়াকেও বিশ্বাস করতে পারছেন বিজেপির নেতানেত্রীরা।

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যে ফানুস বিজেপি ফুলিয়ে ছিল, ফল প্রকাশের পরেই তা চুপসে গিয়েছে। কিন্তু ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে অনেকেই গিয়েছিলেন বিজেপিতে। কোণঠাসা হয়ে অনেকে ফিরেছেন পুরনো দলে। এখনও অনেকেই রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বিজেপি সাংসদের মন্তব্য নিয়ে দলের অন্দরেই তুমুল চর্চা। রানাঘাটের সাংসদ বলেন, “এটা দলের অনুশাসনের ঘাটতির জন্য হচ্ছে। যারাই করুক তারা সত্যিকারের তৃণমূলের চর।“

জগন্নাথ সরকারের মতে, বিজেপির মধ্যে থাকেও কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় দল বিরোধী কোনও পোস্ট করেন,তাহলে নিশ্চিত ভাবে তিনি বিজেপির হিতাকাঙ্খী নন। “সে তৃণমূলের দালাল। সেই শ্রেণির লোককে আমি বলব দল থেকে বহিষ্কার করা বা তাকে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা প্রথমেই করা উচিত। না হলে দলের উন্নতি হয় না।“ জগন্নাথের এই মন্তব্য স্বভাবতই অস্বস্তি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ বিজেপি বিধায়ক তথা বিরোধীদল নেতাই তৃণমূল থেকে সব সুবিধা নেওয়া পরে এখন বিজেপিতে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। এখন জগন্নাথ কাদেরকে নিশানা করেছেন সেবিষয় স্পষ্ট নয়।

জগন্নাথের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল (TMC) মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, বঙ্গ বিজেপি ভেঙে চুরমার। আদি বনাম তৎকাল বনাম পরিযায়ী বিজেপি-র দ্বন্দ্বে জেরবার দল। অনেক বিজেপির বিধায়ক-সাংসদ দল ছাড়ার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন। এই পরিস্থিতিতে আর কাউকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না বিজেপি নেতৃত্ব।




Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version