গত ৪০ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম ইপিএফের (EPF) সুদের হার সর্বনিম্ন হল। বিভিন্ন কর্মী সংগঠন সুদের হার কমানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি মানেনি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। কেন্দ্র প্রভিডেন্ট ফান্ডের (PROVIDENT FUND) জমা টাকার উপরে ৮.১ শতাংশ সুদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই হারে সুদের কথা জানানো হয়েছে।যদিও গত অর্থবর্ষেও সুদের হার ৮.৫ শতাংশ ছিল।

তৃণমূল কংগ্রেস (TRINAMOOL CONGRESS) কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (KUNAL GHOSH) শনিবার বলেছেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সুদের হার কমানো নিয়ে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে অর্থনৈতিক সংস্কারের।বলা হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা।আসলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের সঞ্চয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সিপিএম (CPIM) নেতা শমীক লাহিড়ী বলেন, কেন্দ্র সব কর্পোরেটের হাতে তুলে দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষের সঞ্চয়ের টাকাতেও এবার হাত দিচ্ছে। সদ্য চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ভাল ফল করেছে বিজেপি(BJP)।এখনও অনেক কিছু দেখা বাকি আছে। ইপিএফের সুদের হার কমানো নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (RAHUL GANDHI) তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। শনিবার টুইটে রাহুল কটাক্ষ করে লিখেছেন, বাড়ির ঠিকানা লোক কল্যাণ মার্গ রাখলেই লোকের কল্যাণ হয় না। মোদি সরকার ইপিএফের সুদ কমানোয় সিলমোহর দিয়ে ‘দাম বাড়াও, আয় কমাও’ নামে নতুন মডেল চালু করেছে। তিনি আরও লিখেছেন, দেশের প্রায় সাড়ে ৬ কোটি মানুষের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে কেন্দ্র (CENTRAL GOVERNMENT)। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছে সিপিএম, তৃণমূলের মতো অন্য বিরোধী দলগুলিও।

একদিকে করোনার জেরে প্রায় দু বছর দেশে লকডাউন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশছোঁয়া দাম, রান্নার গ্যাস-সহ পেট্রল ডিজেলের দামবৃদ্ধির ফলে আমজনতার দৈনন্দিন জীবন রীতিমতো বিপর্যয়ের সম্মুখীন।এই পরিস্থিতিতে সুদ কমানোর সিদ্ধান্তে সারা দেশেই ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সুদের হার সর্বনিম্ন হওয়ায় প্রায় ৬ কোটি সদস্য ও তাঁদের পরিবার সমস্যায় পড়বেন। বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

আরও পড়ুন- মনের জোরেই মাধ্যমিকে সফল ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ ৯৩৯ জন
