Sunday, May 4, 2025

সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেবেন: বাড়ি ফিরে অন্য লড়াই শুরু রেণুর

Date:

Share post:

অবশেষে ঘরে ফিরলেন রেণু খাতুন (Renu Khatun)। নয় দিনের লড়াই শেষে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে (Ketugram) বাবার বাড়িতেই ফিরলেন তিনি। সরকারি হাসপাতালের নার্সের চাকরি পাওয়ায় ডান হাতের কবজি কেটে দেয় তাঁর স্বামী শরিফুল শেখ (Shariful Sheikh)। সেখান থেকেই লড়াই শুরু। সোমবার, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে রেণু জানান, আবার নতুন করে লড়াই শুরু হচ্ছে। সুস্থ হলে চাকরিতে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।

হাসপাতাল থেকে এদিন হুইল চেয়ারে রেণুকে হাসপাতাল থেকে বার করেন আত্মীয়রা। এরপর গাড়িতে করে রেণুকে কেতুগ্রামে চিনিসপুরের বাপের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। রেণুর মতে, ‘‘খুব আনন্দ হচ্ছে। সুস্থ হলেই কাজে যোগ দেব। কৃত্রিম হাতও লাগাব। তবে সেটা মাস তিনেক পর।‘‘ রেণুর ইচ্ছে যাঁরা তাঁর মতো যাঁরা নির্যাতিতা তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন তিনি। বাড়ি ফিরে বাঁ হাতে লেখার পাশাপাশি, অন্য কাজও করতে হবে রেণুকে। শুরু হবে অন্য লড়াই। তবে, কোনও অবস্থাতেই আর শ্বশুরবাড়ি ফিরতে চাম না তিনি। যে আর ফিরতে চান না সে কথা আগেই জানিয়েছিলেন রেণু। তাঁর পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bandopadhyay)। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানের কোনও হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এবার সুস্থ হয়ে সেই কাজেই ফিরতে চান রেণু।



spot_img
spot_img

Related articles

কড়া নজরদারিতে রাজ্য নির্বিঘ্নে হল নিট পরীক্ষা

চলতি বছর রবিবার হয়ে গেল ডাক্তারি কোর্সে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা।  ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তত্ত্বাবধানে গোটা দেশজুড়ে প্রায়...

পরপর ছয় বলে ছটা ছয়, ইতিহাস তৈরি রিয়ান পরাগের

ইডেন গার্ডেন্সে রাজস্থান রয়্যালস(RR) জিতে পারেনি ঠিকই। কিন্তু ঐতিহ্যের ইডেনেই ইতিহাস তৈরি করলেন রিয়ান পরাগ(Riyan Parag)। পরপর ছয়...

ব্যানার-হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে এলাকা! মুর্শিদাবাদে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত তৃণমূল 

সোমবার ঝটিকা সফরে মুর্শিদাবাদে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সকালে বহরমপুর থেকে রওনা হয়ে তিনি পৌঁছাবেন ধুলিয়ানে। সূত্রের...

পাক রেঞ্জারের বদলে পূর্ণম কুমার! কতটা আশার আলো দেখছেন স্ত্রী

পাকিস্তানের সেনার হাতে বন্দি রিষড়ার বিএসএফ (BSF) জওয়ান পূর্ণম কুমার সাউ। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে ফিরোজপুর সীমান্ত পর্যন্ত গিয়েছিলেন...