‘টুইটারপাল’; বিল  নিয়ে রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ ব্রাত্যর

ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। একাধিক বিলও তিনি আটকে রেখেছেন।

ভোটাভুটিতে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল আচার্য বিল। বিল পেশ  করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। বিল পেশ করার সময় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি রাজ্যপালকে ‘টুইটার পাল’  বলেও কটাক্ষ করেন। সোমবার বিল পেশের সময় বারবার গুজরাটের উদাহরণ টেনে আনেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট জানান, গুজরাটেও এই ধরনের বিল আনা হয়েছিল। এদিন ব্রাত্য বসু অভিযোগ করেন, মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ম ভেঙে টুইট করেছিলেন রাজ্যপাল। একাধিক বিলও তিনি আটকে রেখেছেন। নিজের পছন্দের লোক, যাঁরা বিজেপি ঘনিষ্ঠ, তাঁদের উপাচার্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন তিনি।

এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ব্রাত্য বসু  বলেন, “আমি মন্ত্রী হওয়ার পর ওঁর কাছে ১৬টা ফাইল পাঠিয়েছি। একটা ফাইলের ক্ষেত্রেও সহমত হতে পারেননি। উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনটে নাম পাঠালে, উনি তাঁদের নাম উপাচার্য হিসেবে বেছে নেন না। চতুর্থ একজনের নাম পাঠান, যিনি বিজেপির ঘনিষ্ঠ। উনি কি টুইটার আচার্য নাকি টুইটার পাল? এটাই বুঝতে পারছি না।” উল্লেখ্য, সোমবার বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশ হয় আচার্য বিল। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১৮২, আর বিপক্ষে ৪০।

Previous articleসুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেবেন: বাড়ি ফিরে অন্য লড়াই শুরু রেণুর
Next articleধাক্কা খেল আয়কর দফতর, হাইকোর্টে বিপুল জয় তৃণমূলের