ভারতবর্ষের প্রথম ক্রীড়া লাইব্রেরি এবার মোহনবাগানে। এই বছরের শেষেই লাইব্রেরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনের দিন থেকে তিন দিন ক্রীড়া বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল, ক্রিকেট-সহ সব খেলার বই থাকবে লাইব্রেরিতে। থাকবে ক্রীড়া সাহিত্য-নির্ভর বইও। সদস্যরা লাইব্রেরিতে গিয়ে বই পড়তে পারবেন। গবেষকরাও তাঁদের গবেষণার কাজে লাইব্রেরির সুবিধা নিতে পারবেন। এর জন্য বিশেষ কার্ড বা চাঁদা চালুর ভাবনা রয়েছে কর্তাদের। বুধবার বিকেলে ছিল ক্লাবের কর্মসমিতির বৈঠক। সভাপতি টুটু বসু এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে ক্রীড়া লাইব্রেরি চালুর সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়ে।
ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘স্পোর্টস লাইব্রেরির প্রস্তাব আমাদের অন্যতম সহসভাপতি কুণাল ঘোষের। তাতে সম্মতি দিয়েছেন সব সদস্য। খুব ভাল প্রস্তাব। দেশের মধ্যে এটাই সম্ভবত প্রথম স্পোর্টস লাইব্রেরি হবে। এই পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়িত করছি। লাইব্রেরির যেদিন উদ্বোধন হবে, সেদিন থেকে টানা তিন দিন ক্রীড়া বইমেলা আয়োজন করবে ক্লাব। ক্রীড়া গ্রন্থাগার এবং ক্রীড়া বইমেলার এই উদ্যোগটাই ঐতিহাসিক। এই ব্যাপারে মোহনবাগান ক্লাব আরও একবার দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছে।’’
দেবাশিস আরও বলেন, ‘‘সমস্ত লেখক ও প্রকাশকদের অনুরোধ করব, তাঁদের বইয়ের একটি ফ্রি কপি যেন লাইব্রেরিতে দেওয়া হয়। লাইব্রেরিতে প্রবেশের জন্য সদস্যদের আলাদা কার্ড থাকবে নাকি নতুন অনলাইন সদস্য কার্ড স্ক্যান করে প্রবেশের অনুমতি মিলবে, তা এখনও ভাবনার স্তরে। একই সঙ্গে চাঁদা চালুর ভাবনাও রয়েছে।’’
বু্ধবারের বৈঠকে হকি সাব কমিটির মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিলেন প্রাক্তন অলিম্পিয়ান অশোক কুমার। হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদ-পুত্র অশোক ক্লাবের হকি দল গঠন থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ পুরো ব্যাপারটিই দেখবেন। একই সঙ্গে এদিন ক্লাবের অ্যাথলেটিক্স সাব কমিটির মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব নিলেন এশিয়াডে রুপোজয়ী অ্যাথলিট সোমা বিশ্বাস। দু’জনকেই এদিন ক্লাবের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মোহনবাগান ক্লাবের হকির দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত ধ্যানচাঁদ-পুত্র। অশোক কুমার ফোনে বললেন, ‘‘মোহনবাগান ক্লাব থেকেই আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাই। এই ক্লাব আমাকে আগেও সম্মান দিয়েছে। আবারও সম্মান পেলাম। ক্লাবের হকির গৌরব ফেরানোর চেষ্টা করব।’’