অগ্নিপথের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে প্রাণ গেল বিক্ষোভকারীর, আহত ১৫

সেনা নিয়োগ নীতি ‘অগ্নিপথ’ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। বৃহস্পতিবার শুক্রবারও বিক্ষোভের সুর আরও ঝাঁঝালো হয়ে উঠেছে। এদিন সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিহার, উত্তরপ্রদেশ, বাংলা,দিল্লি, তেলেঙ্গানার বিভিন্ন জায়গা। সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশনেই সাতটি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। স্টেশনজুড়ে চলে ভাঙচুর। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি চালায় পুলিশ। ওই ঘটনায় এক আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।


আরও পড়ুন:ত্রিপুরা সুরমা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিজেপি নেতা বলাই মালাকার গ্রেফতার


শুক্রবার দুপুরে সেকেন্দ্রাবাদ স্টেশন আগুন লাগানো হয় একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশন চত্বরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা ট্রেন পোড়ায়। সে সময় উত্তেজিত জনতাকে ঠেকাতে অন্তত ১৭ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। নিহত যুবক তেলেঙ্গনার ওয়ারঙ্গল জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


অন্যদিকে এদিন মথুরায় সাধারণ মানুষের উপর পাথরবাজির অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিশ। দানাপুর স্টেশনে দানাপুর-ফারাক্কা এক্সপ্রেস, সেকেন্দ্রাবাদ এক্সপ্রেস-সহ অন্যান্য ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেখানেই একদল বিক্ষোভকারী ২৫টি চার চাকার গাড়ি এবং ৬০টি বাইকে ভাঙচুর চালিয়েছে। পাটনার ডিএম জানিয়েছেন,  প্রায় ১৫০০ জন আন্দোলনকারী এই ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। সিসি ক্যামেরা দেখে আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।



Previous articleত্রিপুরা সুরমা কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিজেপি নেতা বলাই মালাকার গ্রেফতার
Next articleঅগ্নিপথের প্রতিবাদে ভাঙচুর-অবরোধ, সব জেলা প্রশাসনকে সতর্কবার্তা নবান্নের