সোমনাথ বিশ্বাস: ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সময় বদলেছে। বদলেছে দেশ। বদলেছে অর্থনীতি। কোনও কোনও বদল হয়নি ত্রিপুরার। দীর্ঘ বাম আমলে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য যে তিমিরে ছিল, সাড়ে চার বছরে ডাবল ইঞ্জিন বিজেপির শাসনকালে তা আরও অন্ধকারে ডুবেছে।
মানুষ তাঁর সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে সুস্থ জীবন-যাপনের আশায় সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশ-রাজ্য চালানোর অভিভাবক জনপ্রতিনিধিদের বদল করেন। বাম গিয়ে রাম এলেও সামান্য বৃষ্টিতে আগরতলাবাসীর (Agartala- Rainfall) জলযন্ত্রণার ছবিটা একেবারে বদলায়নি।

আরও পড়ুন: ‘এক ডাকে অভিষেক’-এ সরাসরি অভিযোগ-সমস্যা জানান, প্রয়োজনে নাম গোপন: বার্তা অভিষেকের

কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে বানভাসি স্মার্ট সিটি বলে আগরতলার
বিস্তীর্ণ এলাকায়। শুধু এবছর নয়। ফি-বছর এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকেন ত্রিপুরাবাসী। রাজধানীর বড় রাস্তা থেকে শুরু করে দোকানপাট, অফিস-কাছারি, স্কুল জলের তলায়। ভিন রাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী গাড়ির চাকা জলের নীচে। ডুবে গেছে বহু মানুষের বাড়ি। কেউ সর্বস্ব হারিয়ে ঠাঁই নিয়েছে ত্রাণ শিবিরে। আবার কেউ গাঁটের কড়ি খরচ করে আশ্রয় নিয়েছেন আশ্রয় নিয়েছেন হোটেলে।

উদ্ধারকাজে জাতীয় বিপর্যয় বাহিনী। বন্যায় ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে নেমেছে অসম রাইফেলের জওয়ানরা। অসুস্থ, বয়স্ক থেকে শুরু করে ১৫দিনের শিশুও বানভাসি আগরতলার কবলে। অভিযোগ, সেভাবে বিধায়ক থেকে সাংসদ কিংবা স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। অসহায় মানুষগুলির পাশে দাঁড়িয়ে প্রশাসনকেও সেভাবে ইতিবাচক ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। আসলে ভোট আসে ভোট যায়, কিন্তু মানুষের জীবন যে তিমিরে সেখানেই থেকে যায়। সবমিলিয়ে চূড়ান্ত বিপর্যস্ত আগরতলা (Agartala- Rainfall) তথা ত্রিপুরার জনজীবন।