Afganistan: ভূমিকম্পের পর বন্যা, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান

আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বের পাকতিকা প্রদেশে ভূমিকম্পের প্রভাব সবথেকে বেশি। ওই এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি মাটির তৈরি। বৃষ্টির জেরে মাটি ধসে যাচ্ছে, দুর্গম এলাকায় পৌঁছতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের পর পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে, সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। বিধ্বস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না।

বুধবারই ভয়াবহ ভূমিকম্পের( earthquake) তীব্রতা কেঁপে উঠেছিল আফগান ভূমি। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের বিপদ। গতকাল রাত থেকেই অতিবৃষ্টির (heavy rain) ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে আফগানিস্তানে (Afganistan)। দুর্গম এলাকায় ভূমিধসের (landslide) জেরে ব্যাহত উদ্ধারকাজ ( rescue operation) । ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও আটকে বহু মানুষ।

প্রাকৃতিক বিপর্যয় জোড়া ফলায় রীতিমতো বিপর্যস্ত আফগানিস্তান(Afganistan)। ভূমিকম্পের পরে সে দেশে এখন বন্যা (Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। সরকারি হিসেবে এখনও পর্যন্ত ১০০০ জনের মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হলেও দুর্যোগের পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বের পাকতিকা প্রদেশে ভূমিকম্পের প্রভাব সবথেকে বেশি। ওই এলাকার বেশিরভাগ বাড়ি মাটির তৈরি। বৃষ্টির জেরে মাটি ধসে যাচ্ছে, দুর্গম এলাকায় পৌঁছতে পারছেন না উদ্ধারকর্মীরা। ভূমিকম্পের পর পাহাড়ি রাস্তায় ধস নেমেছে, সঙ্গে দোসর বৃষ্টি। বিধ্বস্ত এলাকায় প্রয়োজনীয় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল টাওয়ার ভেঙে পড়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কোনভাবেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না বিপর্যস্ত এলাকায়। ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ  ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখন বৃষ্টি না কমলে কোনওভাবেই উদ্ধার কাজ করা সম্ভব নয় বলেই মনে করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী( Disaster management team) ।