জনৈক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্যাঙ্কে ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু বাকি সব তথ্য প্রমাণের পাশাপাশি শিক্ষককে টেট পরীক্ষায় পাশের সার্টিফিকেট দেখাতে বলে ব্যাঙ্ক। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই শিক্ষক ঋণ পেয়েছেন। এবং টেট পাশের সার্টিফিকেট দেখিয়েই তা পেয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার জেলার পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় । আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সলসলাবাড়ি শাখায় ঋণের জন্য আবেদন জানাতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের কাছে টেট পাশের নথি দেখতে চান।
কিন্তু এমন নিয়ম? এর আগে কী এমন কাণ্ড ঘটেছে? না আগে এমনটা ঘটেনি। সলসলাবাড়ি শাখার ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুশান্তকুমার মারাক ঘটনাটি মেনে নিয়েছেন। তাঁর মতে সাম্প্রতিক টেট নিয়ে আদালতের নির্দেশের পরেই ব্যাঙ্ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের একটি নির্দেশ দিয়েছে। তাতে ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছে। সিবিআই তদন্তও চলছে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে টেট পাশের নথি দেখে তবেই প্রাথমিক শিক্ষকদের ঋণ দেওয়া হচ্ছে । যদিও ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনো লিখিত নির্দেশ আসেনি বলেই জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।