ব্যান্ডেল স্টেশনে সদ্য চালু হওয়া দেশের বৃহৎ ইলেট্রনিক রুট রেল ইন্টারলকিং সিস্টেমটি এখন পৃথিবীর মধ্যেও বৃহত্তম। টানা কয়েকদিনের ট্রেন বন্ধের যন্ত্রণা, ভোগান্তি , ট্রেন বাতিল সবকিছুর শেষে বিশ্বসেরা স্বীকৃতির সম্মান পেল ব্যান্ডেল স্টেশনের এই ইন্টারলকিং সিস্টেম । এই সুখবর ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে এত দিন ব্যান্ডেল স্টেশনের কাজ হত ব্রিটিশ ইন্টারলকিং সিস্টেমে। মান্ধাতা আমলের সেই সিস্টেমে ট্রেন চলাচলে অনেক সময়েই বিঘ্ন ঘটত। কিন্তু তার পরিবর্তে এবার এসে গেল অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তিতে তৈরি ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম। এই সিস্টেমটির নির্মাণ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর মধ্যে সর্বপ্রথম এত বড় রুট রেল ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং বসানো হল হুগলির ব্যান্ডেল স্টেশনে। এর আগে সর্ববৃহৎ ছিল খড়গপুর স্টেশনের ইন্টারলকিং সিস্টেমটি। তার ধারণ ক্ষমতা ছিল ৮০০। কিন্তু ব্যান্ডেলের ইন্টারলকিং সিস্টেমের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজারেরও বেশি। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ব্যান্ডেলের এই অত্যাধুনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের ফলে ট্রেনের পরিষেবা আরও দ্রুত হবে। আগে সিগন্যাল পেতে একেকটি ট্রেনকে অনেকক্ষণ দাঁড় করিয়ে রাখতে হত। কিন্তু এখন আর তা হবে না। ফলে দূরপাল্লা এবং লোকাল ট্রেনগুলি দ্রুত সিগন্যাল পেয়ে যাবে । কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারবে । শুধু ট্রেনের সিগন্যাল নয়। যাত্রী সুরক্ষার ক্ষেত্রে অনেক নতুন পদক্ষেপ করা যাবে। আগে কোথাও কোনো সমস্যা হলে ফোনে জানাতে হত। অপেক্ষা করতে হত উত্তর আসার জন্য। কিন্তু এখন কম্পিউটারের মাধ্যমে এক জায়গায় বসে একটি বিরাট এলাকার ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা দেখা যাবে। এবং নজরদারিও চালানো যাবে। ফলে এই অত্যাধুনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমের দরুন রেল পরিষেবা অনেকটাই অত্যাধুনিক হবে।এমনটাই দাবি ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষের।

নতুন ইন্টারলকিং সিস্টেমের জন্য তিন দিন সময় লেগেছিল। তিন দিনের মধ্যে জার্মান ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমটির সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা-সহ যাবতীয় কাজ সেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল । তবে খুব সামান্য কিছু কাজ এখনো বাকি । এখনও ইন্টারলকিংয়ের বেশ কিছু কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন রেল।
