এবার কি তবে শ্রীলঙ্কার মতো সঙ্কটে পড়তে চলেছে প্রতিবেশি পাকিস্তান(Pakistan)। দেশটির সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সেই সম্ভাবনারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর্থিক সঙ্কট এতটাই গুরুতর হয়ে উঠেছে এই দেশে যে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাঠ্য বই(School Book) ছাপানো। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে কাগজ সংকট চরম আকার ধারণ করেছে দেশে।

পাকিস্তানে আগামী অগস্ট মাসের থেকে শুরু হবে নতুন শিক্ষাবর্ষ। এদিকে দেশে কাগজের সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে। এই সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে আগামী শিক্ষাবর্ষের সমস্ত পাঠ্যপুস্তক ছাপা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘অল পাকিস্তান পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’, ‘পাকিস্তান অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রিন্টিং গ্রাফিক আর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ’ (পিএপিজিএআই)-সহ কাগজ ও মুদ্রণশিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠন। এদিকে এই গুরুতর পরিস্থিতির জন্য সরকারের ভুল নীতিকে দায়ি করা হয়েছে। পাক কোষাগারের অবস্থাও শোচনীয়। বিদেশী মুদ্রা ভাণ্ডারের অবস্থাও তথৈবচ। ফলে ইমরান সরকারকে গদিচ্যুত করার পর এখন সরকার চালাতে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ফলস্বরূপবৃহৎ শিল্প ও শিল্পপতিদের উপর ‘সুপার ট্যাক্স’ চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। সঙ্কট কাটাতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার থেকে ঋণ নিচ্ছে পাক সরকার।

উল্লেখ্য, করোনা মহামারী, অপশাসন ও ঋণের ভারে পাকিস্তানের অর্থনীতি কার্যত হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছে। জোর ধাক্কা খেয়েছে পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি। ফলে তলানিতে ঠেকেছে বিদেশি মুদ্রা ভাণ্ডার। ফলে খাবার থেকে ওষুধ সবকিছুরই দাম ভয়ানক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য ও ওষুধের মতো জরুরি পণ্যের জোগান বজায় রাখতে সমস্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ বিলাসী পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে শাহবাজ শরিফের সরকার। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া মুশকিল হচ্ছে। আইএমএফ স্পষ্ট জানিয়েছে, খরচে রাশ টেনে সরকারকে আয় বাড়াতে হবে। রাজস্ব ঘাটতিতে লাগাম টানতে হবে। তবেই তারা ৯০ কোটি ডলারের ঋণ মঞ্জুর করবে।
