বন্যা পরিস্থিতিতে আরও প্রাণহানি অসমে, চাপে পড়ে এলাকা পরিদর্শন হিমন্ত বিশ্বশর্মার

অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বন্যা কবলিত বরাক উপত্যকা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি শিলচরে জনগণের অভিযোগ শোনেন।যদিও এতদিন বাদে অসমের বন্যার জল কমতে শুরু করেছে।

বিরোধীদের সমালোচনার চাপে শেষ পর্যন্ত অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে গেলেন। অসমের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে গিয়েছিল। একদিকে বন্যা ও অন্যদিকে ভূমিধস। বিপর্যস্ত ছিল রাজ্য। মারা গিয়েছিলেন শতাধিক মানুষ। এসবের মাঝে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বন্যা কবলিত বরাক উপত্যকা এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি শিলচরে জনগণের অভিযোগ শোনেন।যদিও এতদিন বাদে অসমের বন্যার জল কমতে শুরু করেছে। অসমের রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট অনুযায়ী মরিগাঁও জেলায় ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।

হোজাই জেলা থেকে চারজনের মৃত্যুর খবর মিলেছিল। কামরুপে ২ জন এবং বারপেটা ও নলবাড়িতে তিনজন মারা গিয়েছিলেন। ৩২ টি জেলার ৪৯৪১ টি গ্রামে ৫৪.৭ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মোট ৮৪৫টি ত্রাণ শিবির এবং ১০২৫টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
চলতি সপ্তাহে চিরাং জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় দমকল ও জরুরি পরিষেবার কর্মীরা কাজ শুরু করে বাজালি, বাকসা, বারপেটা, বিশ্বনাথ, বোঙ্গাইগাঁও, কাছাড়, চিরাং, দররাং, ধেমাজি, ধুবরি, ডিব্রুগড়, ডিমা-হাসাও, গোয়ালপাড়া, গোলাঘাট, হাইলাকান্দি। , হোজাই, কামরুপ, কামরুপ মেট্রোপলিটন, কার্বি আংলং পশ্চিম, করিমগঞ্জ, কোকরাঝাড়, লখিমপুর, মাজুলি, মরিগাঁও, নগাঁও, নলবাড়ি, শিবসাগর, সোনিতপুর, দক্ষিণ সালমারা, তামুলপুর, তিনসুকিয়া এবং উদালগুড়ি জেলা জলে ডুবে গিয়েহিল।

চলতি বছরের বন্যায় ৯৯,০২৬ হেক্টরের বেশি ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কপিলি, ডিসাং ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিভিন্ন স্থানে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছিল। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), রাজ্য বিপর্যয় প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ) এবং অসম পুলিশের ফায়ার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি সার্ভিস ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানে নিযুক্ত রয়েছে। চাপারমুখ রেলস্টেশনে আশ্রয় নেওয়া বন্যাকবলিত মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। তিনি মরিগাঁও জেলার নেল্লিতে জাতীয় সড়কের পাশে অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে বন্যা-দুর্গত পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং তাদের সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন।

Previous articleRare Carnivorous Plant:  হিমালয়ের বুকে মিলল বিরল প্রজাতির ‘মাংসাশী উদ্ভিদ’ 
Next articleRanji Trophy: রঞ্জিট্রফিতে ইতিহাস, প্রথমবার রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হল মধ্যপ্রদেশ