বর্ধমানে উন্নতমানের হেলিপ্যাড তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

মাটি উৎসবের(Mati Utsab) উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সোমবার পূর্ব বর্ধমানে(Burdwan) উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এখান থেকেই এদিন কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুচনা করেন তিনি। এই মঞ্চ থেকেই এদিন বর্ধমানবাসীকে উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন কলকাতার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধার্থে বর্ধমানে হবে একটি স্থায়ী হেলিপ্যাড(Halipad)।

এদিন জনসভা থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি আসব বলে আজকে এখানে একটা হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু আমি ইচ্ছে করেই গাড়িতে এসেছি। আমার উদ্দেশ্য ছিল এই হেলিপ্যাডটা আমি ভালো করে করে দেব। আমি পিডব্লুডিকে বলে যাচ্ছি এই হেলিপ্যাডটা ভালো করে তৈরি করতে। কারণ আমি এই হেলিপ্যাড বর্ধমানকে দিয়ে যাচ্ছি। যাতে যেকোনও হেলিকপ্টার এই হেলিপ্যাডে নামতে পারে। এই জায়গাটাও সরকারের জায়গা। ফলে জমি সংক্রান্ত সমস্যা কিছু হবে না।” একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি এখানে একটা হেলিপ্যাড থাকা উচিত বর্ধমানে। অন্ডালে একটা বিমানবন্দর আছে আর এখানে একটা হেলিপ্যাড থাকলে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে কলকাতা থেকে মালদা থেকে এখানে চলে আসতে পারবে যে কেউ। আর এই হেলিপ্যাড তৈরির ফলে বর্ধমানবাসীর জীবনযাত্রার মান আরও উন্নত হয়ে উঠবে।” মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরই হাততালিতে ফেটে পড়ে গোটা সভামঞ্চ।

এছাড়াও এদিনের সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিতেও ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টাকা আটকে রাখার অভিযোগ তুলে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিজেপির লোকেরা ১০০ দিনের টাকা আটকে রেখেছে গত ৬ মাস ধরে। সংবিধানের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে টাকা মেটাতে হবে। হয় টাকা দাও নাও নিদায় নাও। বাংলার বাড়ি বাংলার সড়ক এই প্রকল্পেও টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আমি সাংসদদের একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি তারপরেও ওরা কি করছে। নাহলে এগুলোর সমাধান করতে টাকা আদায়ের আমি দিল্লি যাব।” একইসঙ্গে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বহু রাজ্যই প্রকল্পের নাম বদলায়। গুজরাট – উত্তর প্রদেশে রাজ্যের নামে প্রকল্প থাকলে, বাংলায় আপত্তি কেন? বাংলার নাম বললে ওরা বলে, কেন বাংলার নাম বলা হয়েছে? টাকা দেওয়া হবে না! বাংলার নাম বলব। বাংলার বাড়ি বলব। বাংলার সড়ক বলব।”


Previous articleবিক্ষোভ -প্রতিবাদ সত্ত্বেও অগ্নিবীর হতে চেয়ে ৫৬,৯৬০ টি আবেদন জমা পড়ল 
Next articleমহারাষ্ট্র মামলার ডেপুটি স্পিকারের জবাব তলব শীর্ষ আদালতের