সুদীপ্ত সেনের বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি, বিজেপি আশ্রিত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ পথে নামছে তৃণমূল

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়ার ইস্যুতে অভিযোগ জানাতে এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন আগামিকাল, মঙ্গলবার রাজভবনে যাবে তৃণমূলের ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল

“শুভেন্দু অধিকারী ব্ল্যাকমেল করে আমার কাছ থেকে টাকা নিত। একবার নয় অনেকবার। কাঁথিতে ডেকে পাঠাতো।” শুক্রবার সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের সংবাদমাধ্যমের সামনে এমন বিস্ফোরক স্বীকারোক্তির পর তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই মর্মে সারদাকর্তা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে তাঁর দ্বিতীয় চিঠি দিয়েছেন। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামতে চলেছে তৃণমূল।


আরও পড়ুন:আজ বর্ধমান সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষকদের হাতে তুলে দেবেন সম্মান


আজ, সোমবার, শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরের বাইরে একটি বিশাল সভার আয়োজন করা হয়েছে তৃণমূল ছাত্র-যুব সংগঠনের পক্ষ থেকে। যেখানে মূলবক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃনাঙ্কুর ভট্টাচার্য, যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ, তৃণমূলের রাজ্য সাধারন সম্পাদক কুনাল ঘোষ, বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়-সহ নেতৃত্ব।


আজই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় একটি মিছিল ও তারপর দুর্গাচকে সভা হবে শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকারী পরিবারের হোমটাউন কাঁথিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির নেতৃত্বে একটি মিছিল ও সভা হবে শুভেন্দুকে গ্রেফতারের দাবিতে। যেখানে সকলস্তরের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেবেন। এবং রাজ্যের তিনটি পৃথক জায়গায় এই সভা ও মিছিলগুলি হবে একই সময়, দুপুর তিনটে।


এরপর আগামিকাল মঙ্গলবার, বেলা ১১.৩০ মিনিটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের থেকে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেল করে টাকা নেওয়ার ইস্যুতে অভিযোগ জানাতে এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের হস্তক্ষেপ দাবি করেন রাজভবনে যাবে তৃণমূলের ৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। যার নেতৃত্বে থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এছাড়াও প্রতিনিধিদলের বাকি সদস্যরা হলেন মানস ভূঁইয়া, তাপস রায়, কুণাল ঘোষ, শশী পাঁজা, ফিরোজা বিবি, অর্জুন সিং, সায়নী ঘোষ।


“সারদা কেলেঙ্কারিতে বহুমানুষ ক্ষতিগ্রস্থ, বিপর্যস্ত। শুধু আমানতকারী নয়, অনেক কর্মীও কাজ হারিয়ে বিপর্যস্ত। এই মামলায় সুদীপ্ত সেনের বয়ান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সারদা কেলেঙ্কারি মামলায় সুদীপ্ত সেন আগেও একটি চিঠি দিয়েছিলেন আদালতকে। পরে দ্বিতীয় চিঠি দিয়েছেন। কিছু ষড়যন্ত্রকারী অন্যের কাঁধে বন্দুক রেখেছে নিজেদের আখের গুছিয়েছে। সারদায় অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও সুবিধাভোগী হল শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের সামনে সেটা সারদাকর্তা বলেছেন, ব্ল্যাকমেল করে দফায় দফায় কীভাবে তার থেকে টাকা নিয়েছে শুভেন্দু। সারদাকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল শুভেন্দুর। পশ্চিমবঙ্গে এত জায়গা থাকতে কেন বারবার কাঁথি পুরসভায় তৎকালীন সময়ে টাকা দিতেন সুদীপ্ত সেন? শুভেন্দু নগদেও সারদাকর্তার থেকে টাকা নিয়েছে। অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে শুভেন্দুকে।” দাবি তুলেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

Previous articleআজ বর্ধমান সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কৃষকদের হাতে তুলে দেবেন সম্মান
Next articleআজ সুপ্রিম কোর্টে ভাগ্যনির্ধারণ শিন্ডের, কথা বললেন উদ্ধব বিরোধী রাজ ঠাকরের সঙ্গে