বুধবারও মেডিক্যালের পরীক্ষায় গরহাজির ২৫০ পরীক্ষার্থীই, অনুপস্থিত দেখাতে চায় কলেজ কর্তৃপক্ষ

পড়ুয়াদের এই গরহাজিরাকে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অনুপস্থিত দেখানোর বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।

পরপর দু’দিন কলেজ পড়ুয়ারা মেডিক্যালের পরীক্ষায় গরহাজির থাকলেন।আড়াইশো পরীক্ষার্থীর মধ্যে একজনও বুধবারও পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে উপস্থিত হননি।পড়ুয়াদের এই গরহাজিরাকে মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অনুপস্থিত দেখানোর বিষয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। যদিও কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

অধ্যাপক, চিকিৎসক ও সিনিয়র ছাত্ররা এই পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁদের যুক্তি, দূরের জেলা থেকে প্রত্যেকদিন সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে কলেজে এসে আউটডোর করে প্রয়োজনে অস্ত্রোপচার করেন অনেক অধ্যাপক চিকিৎসক। কিন্তু কোভিডের দোহাই দিয়ে পরীক্ষা না দেওয়া কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অধিকাংশ চিকিৎসক জানিয়েছেন, কোভিডের (COVI-19) ভয়ে পরীক্ষা দিতে না আসা কোনওভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। একই মত পোষণ করেছেন কলেজ অধ্যক্ষ ডা: রঘুনাথ মিশ্র।তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষা না দিলে অনুপস্থিত হিসাবে নথিভুক্ত হবে এটাই নিয়ম। তবে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, এমবিবিএসের (MBBS Exam) দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের প্রথম দিনের পরীক্ষা ছিল সোমবার। ২৫০ জন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একজনও পরীক্ষা দিতে আসেননি। মঙ্গলবার দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা ছিল। পূর্বনিধারিত সূচি অনুযায়ী পরীক্ষার হলে পরিদর্শক প্রস্তুত ছিলেন। র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষারও ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরেও একজন পড়ুয়াও উপস্থিত হননি।প্রত্যেক বছর নূন্যতম তিনটি সেমিস্টার পরীক্ষা দিতে হয়। তিনটি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পাস করলেই স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় বসার অনুমতি পাওয়া যায়।
কলেজের প্রবীণ অধ্যাপকদের বক্তব্য, কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ঠিকই। তাঁদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু কয়েকজন আক্রান্ত বলে গণহারে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার নেপথ্যে অবশ্যই অন্য কোনও কারণ আছে। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা. সুদীপ্ত রায় জানিয়েছেন, প্রথম দিন কেউ আসেননি। আমরা ভেবেছিলাম দ্বিতীয় দিন আসবে। পড়ুয়ারা যা কিছুই করুন না কেন সবার আগে লেখাপড়া ও পরীক্ষা। তাই এমন ঘটনা অত্যন্ত অনভিপ্রেত।
সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, কোভিডের দোহাই দিয়ে অফলাইনে পরীক্ষায় যারা বসলেন না, তাদের বিরুদ্ধে কলেজ কড়া ব্যবস্থা নিলে ভবিষ্যতে তারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

Previous articleফেলুদা নয়, এবার ‘জাহাঙ্গিরের স্বর্ণমুদ্রা’ খুঁজতে চলেছে কেন্দ্র সরকার
Next articleশিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে সবুজ ঝড়, পর্যদুস্ত বিজেপি