কেরলে সিপিএম পার্টি অফিসে ব্যাপক বোমাবাজি, কাঠগড়ায় কংগ্রেস

সিপিএম এবং কংগ্রেসের কেরলে এতটাই রাজনৈতিক শত্রুতা যে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সচেতন এই রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক হিংসার সঞ্চার হয়েছে

“বাংলায় দোস্তি, কেরলে কুস্তি”! ২০১৬ বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেস সমঝোতা হওয়ার পর থেকে এই প্রবাদ এ রাজ্যের বুকে বহু প্রচলিত। আসলে বাংলার বুকে বাম-কংগ্রেস আঁতাতের দীর্ঘসূত্রিতা। সেটা প্রকাশ্যে চলে আসে বিধানসভা ভোটের সময়। বাকিটা ইতিহাস। যা হওয়ার তাই হয়েছে। এই জোট বা জোটের সঙ্গে যুক্ত দলগুলি বাংলার বুক থেকে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বাংলার মতো ত্রিপুরাতেও শুরু হয়েছে বাম-কংগ্রেস আঁতাত। এবং অদূর ভবিষ্যতে ত্রিপুরাতেও যে অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগতে চলে বাম-কংগ্রেস, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


আরও পড়ুন:দাম কমলো বাণিজ্যিক গ্যাসের, অপরিবর্তিত ১৪ কেজি সিলিন্ডারের দাম

তবে এরই মধ্যে ব্যতিক্রমী কেরল। গোটা দেশে প্রাসঙ্গিকতা হারালেও দক্ষিণের এই রাজ্যে এখনও শক্তভিতের উপর দাঁড়িয়ে আছে বাম এবং কংগ্রেস। কারণ একটাই, কেরলে বাম ও কংগ্রেস একে অপরের প্রধান প্রতিপক্ষ। ফলে আঞ্চলিক কোনও দল কেরলে এখনও মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি। এমনকী, বিজেপিও হালে পানি পায়নি কেরলে।


সিপিএম এবং কংগ্রেসের কেরলে এতটাই রাজনৈতিক শত্রুতা যে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক সচেতন এই রাজ্যে বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক হিংসার সঞ্চার হয়েছে। তার নবতম সংযোজন সিপিএম পার্টি অফিসে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ।


জানা গিয়েছে, মোটর সাইকেলে করে এসে এক ব্যক্তি পরপর বোমা ছুঁড়ে চম্পট দেয়। কেরলে সিপিএমের পার্টি অফিসে এমনই হামলার ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই এসএফআই কর্মী সমর্থকদের তরফে ওয়েনাডে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর কার্যালয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। এর মাঝেই সিপিএমের পার্টি অফিসে হামলায় কংগ্রেসেরে দিকে আঙুল তুলেছেন বাম কর্মীরা।


ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, এক বাইক আরোহী তিরুবন্তপুরমের সিপিএমের জেলা সদর দফতরের অফিসে লাগাতার বোমা ছুঁড়ছেন। কেরলের মতে রাজ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ছিল। তাই রাজনীতির কারণে অশান্তি কিংবা দ্বন্দ খুব একটা দেখা যায় না বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের। কিন্তু কেরলেও সেই রাজনৈতিক অশান্তি থাবা বসানোয় চিন্তা বাড়ছে।

সিপিএম অফিসে বোমাবাজির ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাত ১১.৩০ নাগাদ। জানা গিয়েছে, বোমাবাজির সময় ওই পার্টি অফিসে বেশ কিছু কর্মী উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন এলডিএফ অর্থাৎ সিপিএম নেতা এ পি জয়রাজন। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই হামলার দায় অস্বীকার করা হয়েছে। বামেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে পাল্টা দাবি কংগ্রেসের।

Previous articleআজ থেকে প্লাস্টিকের কী কী জিনিস বন্ধ হল? জেনে নিন-
Next articleচন্দননগরে সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে রথযাত্রা