কাঁটাতারের বেড়ার দু’পারেই তখন সন্ধ্যে নেমেছে। হঠাৎই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্তব্যরত বিএসএফরা(BSF) শুনতে পেলেন সীমান্তের(Border) পাশ থেকে আসছে এক শিশুর কান্নার আওয়াজ। সর্বদা গুলির আওয়াজ শুনতে অভ্যস্ত সীমান্ত বাহিনীর কাছে শিশুর কান্নার আওয়াজ একটু অস্বাভাবিক থাকলেও সঙ্গে সঙ্গেই তৎপর হয়ে ওঠেন ফিরোজপুরে ভারত-পাক সীমান্তবর্তী(Indo-Pak border) অঞ্চলে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানরা। সময় তখন প্রায় সন্ধ্যে ৭টা, নজরে আসে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে দাঁড়িয়ে অঝোরে কান্নাকাটি করছে বছর তিনেকের এক পাকিস্তানি শিশু। অন্ধকার নেমে আসায় পথ ভুলেছে সে। বাড়ি পথ খুঁজে না পেয়ে অঝোরে কাঁদছে শিশুটি।

বিষয়টি বুঝতে অবশ্য খুব বেশি সময় লাগেনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর। তৎক্ষণাৎ শিশুটিকে উদ্ধার করে তারা। যদিও পথ হারিয়ে ভীত সন্ত্রস্ত ওই শিশু কোন ঠিকানা বা নিজের বাড়ির ঠিকানাও বলতে পারেনি। শুধু জানা যায়, বাবার সঙ্গে চলতে চলতে পথ হারিয়েছে সে। শুক্রবার শিশুটিকে উদ্ধার করার পর তৎক্ষণাৎ পাক রেঞ্জারদের খবর দেওয়া হয় বিএসএফের তরফে। এরপর শিশুটির বাবার খোঁজ শুরু করে তাঁকে বিষয়টি জানানো হয় পাকিস্তানের তরফে। সেই মতো বসে দুই দেশের ফ্ল্যাগ মিটিং। এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর মানবিকতায় রাত ৯.৪৫ নাগাদ শিশুটিকে তুলে দেওয়া হয় তার বাবার হাতে।
