রূপা-কুণাল সাক্ষাৎ ঘিরে জোর জল্পনা! কবে ফুল বদল করছেন “দ্রৌপদী”?

বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আর কুণাল ঘোষের একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখ। এ বিষয়ে কোনও পক্ষই খোলসা করে কিছু না বললেও তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে

একুশের বিধানসভা নির্বাচন, তারপর কলকাতা পুরসভা ভোটের (Kolkata Municipal Election) সময় রাজ্য বিজেপির (BJP) নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Rupa Ganguly)। কলকাতা পুরসভা ভোটের সময় বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব যখন চরমে ছিল সেই সময় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন রূপা। সেখানেই শেষ নয়। কয়েক সপ্তাহ আগে রূপার ফেসবুক পোস্টকে ঘিরে জোর জল্পনা শুরু হয়। বিশেষ করে যখন দলের প্রতি অভিমানী তিনি। যেখানে তিনি লিখেছিলেন, “রাজনীতিতে আসা মানেই যে অযথা সময় নষ্ট করা তা আগে জানা ছিল না।’’ তাহলে কী সত্যি সত্যিই রাজনীতি থেকে অবসর নিতে চলেছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়! নাকি তিনি বিজেপি ছাড়ছেন! এই জল্পনার মাঝেই তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে রূপার একটি সাক্ষাতের ছবি মঙ্গলবার প্রকাশ্যে চলে আসে। নতুন করে রূপার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয় চর্চা।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় আর কুণাল ঘোষের একে অপরের দিকে তাকিয়ে হাসিমুখ। এ বিষয়ে কোনও পক্ষই খোলসা করে কিছু না বললেও তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয়ে গিয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। নেহাতই সৌজন্যমূলক কথাবার্তা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা ঠিক হবে না। যদিও কুণালের এমন বক্তব্যের পরও জল্পনা কিন্তু কমছে না। প্রশ্ন উঠছেই, “তাহলে কি এবার ফুলবদল করছেন রূপা?”

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মহাভারতের দৌপ্রদী খ্যাত অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে হেরে গেলেও তাঁকে বিজেপি থেকে রাজ্যসভার সংসদ মনোনীত করা হয়। এর পাশাপাশি তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্র বিজেপির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার অন্যতম মুখ ছিলেন রূপা।