বিজেপির(BJP) উগ্র হিন্দুত্ববাদ(Hinduisam) মুসলিম সমাজকে ‘পদ্ম-বিমুখ’ করেছে করেছে আগেই, একের পর এক জনবিরোধী নীতির জেরে গেরুয়া শিবিরের নিজস্ব ভোটও মোদি-শাহতে আর সন্তুষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে মুসলিম ভোট কিছু অন্তত নিজেদের দিকে আনতে তৎপর গেরুয়া শিবির যার জেরেই এবার দেশজুড়ে মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণিকে কাছে টানতে ‘স্নেহ যাত্রা'(Sneho Yatra) কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে গেরুয়া বাহিনী। জুলাই মাসে শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তারপরই শুরু হতে চলেছে বিজেপির এই কর্মসূচী।

এতদিন মুসলিম সমাজের দিকে গুরুত্ব না দিলেও ২৪-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে সঙ্খ্যালঘুদের গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পেতে শুরু করেছেন নরেন্দ্র মোদি। যার জেরেই হায়দরাবাদে সদ্যসমাপ্ত বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষকে কাছে টানার কথা বলেন। মোদির নির্দেশ মেনেই এবার তৎপর হয়ে উঠল বিজেপি। শীঘ্রই দেশজুড়ে এই ‘স্নেহ যাত্রা’ কর্মসূচি শুরু করে চলেছে গেরুয়া শিবির।
হায়দ্রাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির মঞ্চে মোদির উপস্থিতিতে এক রিপোর্ট পেশ করা হয় বিজেপির তরফে। যেখানে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিং জানান, সাম্প্রতিককালে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) দু’টি লোকসভা কেন্দ্র রামপুর ও আজমগড় উপনির্বাচনে বিজেপি ভাল ফল করেছে। আর এখানে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের বড় অংশ এসেছে মুসলিম সম্প্রদায় থেকে। চলতি বছরের মার্চে যোগী আদিত্যনাথের (Yogi Adityanath) মন্ত্রিসভায় একমাত্র মুসলিম প্রতিনিধি হিসাবে সংখ্যালঘু বিষয়ক দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে দানিশ আনসারিকে নিয়োগ করা হয়েছিল। তিনি মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর প্রতিনিধি। সমস্ত রিপোর্ট হাতে পেয়ে এই সম্প্রদায়ভুক্ত মুসলিম সমাজের উন্নতির দিকে নজর দিতে দলকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। যারা বিজেপির ভোটার নয় তাদেরকেও বিজেপিমুখি করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন তিনি। মুসলিম সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর সঙ্গে বিজেপির যে দুরত্ব তৈরি হয়েছে তা কীভাবে কমানো যায় সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় রূপরেখা তৈরি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যার জেরেই মুসলিম মন পেতে দেশজুড়ে ‘স্নেহ যাত্রা’ কর্মসূচী শুরু করতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
