মহাকাশ গবেষণায় নতুন যুগের সূচনা করল নাসার উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। মহাকাশ থেকে প্রথম রঙিন ছবি পাঠিয়েছে জেমস। এই টেলিস্কোপের হাত ধরেই মহাকাশের নানান রহস্য আরও বেশি করে জানা সম্ভব হবে। নাসা হোডকোয়াটার্সের ওয়েব প্রোগ্রাম বিজ্ঞানী এরিক স্মিথের মতে জেমসের তোলা প্রথম রঙিন ছবি মহাকাশ গবেষণায় ইতিহাস গড়বে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন গবেষণা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনের দিকে এগোচ্ছি আমরা। কয়েক দশকের গবেষণা, প্রতীক্ষা এবং স্বপ্ন পূরণ করবে জেমসের তোলা ছবি।

বিজ্ঞানীদের দাবি ছবিটিতে যেসব ছায়াপথ ও নক্ষত্রপুঞ্জ দেখা যাচ্ছে সেগুলি ব্রহ্মাণ্ডে সৃষ্ট আদিতম ছায়াপথগুলির অন্যতম। এদের প্রত্যেকের বয়স প্রায় ১৩ বিলিয়ন বছর। বিগ ব্যাংয়ের পর সর্বপ্রথম এই ছায়াপথগুলিই তৈরি হয়েছিল বলে মত বৈজ্ঞানিকদের। জেমস ওয়েবে তোলা ছবিটির ছায়াপথগুলি থেকে আলো এসে পৌঁছাতে ৪৬০ কোটি বছর লেগেছে। এত দূরের বস্তু ঝাপসা বা দেখার অযোগ্য থাকার কথা, কিন্তু এখানেই জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের বিশেষত্ব। জেমস ওয়েবের ছবিতে দেখা যাওয়া ছায়াপথগুচ্ছের মোট ভর এত বেশি যে, সেটি মহাকর্ষিক লেন্স হিসেবে কাজ করছে।
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই অতি শক্তিশালী টেলিস্কোপ। এই টেলিস্কোপ তৈরিতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সি। পুরনো টেলিস্কোপগুলোতে একটিই আয়না থাকত যেগুলি দূরের নক্ষত্র থেকে আলো সংগ্রহ করত। কিন্তু জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপে রয়েছে ১৮টি ষড়ভুজাকার আয়না। এই আয়নার সাহায্যে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের বহু দূরে থাকা নক্ষত্রের ছবিও ধরা পড়েছে টেলিস্কোপে।
