শুধু মদ-সিগারেটে কেন ‘ওয়ার্নিং লেভেল’, ক্ষতিকারক খাবারের সতর্কবার্তা নিয়ে প্রশ্ন

কোনও খাবারের প্যাকেট বা পানীয়র বোতলের গায়ে লেখা এই লেখা সাধারণত দেখা যায় না। ইদানিং কালে যে হারে কোল্ড ড্রিঙ্কস (Cold Drinks)খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয় বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাতে কোনও সতর্কবার্তা থাকে কি?

যতদিন যাচ্ছে ততই ক্ষতিকারক খাবারের দিকে ঝোঁক বাড়ছে সাধারণ মানুষের। স্বভাবতই এর সঙ্গেই বাড়ছে রোগের প্রকোপ। কিন্তু কটা খাবারের ক্ষেত্রে সতর্কবার্তা লেখা থাকে বলতে পারেন? শুধুমাত্র সিগারেট এবং মদের বাক্সেই লেখা থাকে ‘ওয়ার্নিং লেভেল’ (Warning Level),বাকি খাবার কেনার ক্ষেত্রে কি তাহলে ক্রেতাদের (Buyers)সতর্ক থাকার প্রয়োজন নেই? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন চিকিৎসক (Doctors) এবং শিল্পপতিদের একাংশ।

শরীর সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু নি  ত্যদিন যে হারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে অসুখের দৌরাত্ম্য বাড়ছে সমান তালে। অথচ সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে কেন ওয়ার্নিং লেভেল (warning level) থাকে না এইসব খাবারে। সিগারেটের প্যাকেটে লেখা থাকে ‘স্মোকিং ইজ ইনজুরিয়াস টু হেল্থ’ (Smoking is injurious to health) এবং অ্যালকোহলের বাক্সে ‘অ্যালকোহল কনজামশন ইনজুরিয়াস টু হেল্থ’ (Alcohol consumption is injurious to health)। কিন্তু আর কোনও ক্ষেত্রে এই নিয়ম কেন মানা হয় না? কোনও খাবারের প্যাকেট বা পানীয়র বোতলের গায়ে লেখা এই লেখা সাধারণত দেখা যায় না। ইদানিং কালে যে হারে কোল্ড ড্রিঙ্কস (Cold Drinks)খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে তাতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয় বলছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাতে কোনও সতর্কবার্তা থাকে কি? শুধু পানীয় কেন, নানা প্যাকেটজাত খাদ্য দ্রব্যেও (Packaged food)ক্ষতিকারক উপাদান থাকে। এই যেমন অনেক জুসে (Juice) ফ্যাটের পরিমাণ বেশি, কেক জাতীয় খাবারে ক্যালোরি বাড়ে – কিন্তু এই সব খাবারের ক্ষেত্রে কোনও সতর্কতা মানার কথা কারোর মাথাতেই আসে না। কিন্তু সব জিনিসেই যে তা থাকা উচিত, তেমনটাই মত চিকিৎসক-সহ শিল্পপতিদের একাংশের। সেক্ষেত্রে মানুষ সচেতন হয়ে কোনও প্রোডাক্ট কিনবেন, খাবেন, ইচ্ছে না হলে খাবেন না। মঙ্গলবার এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আয়োজিত ‘ওয়ার্নিং লেভেল ফর আনহেলদি ফুড'(Warning level for unhealthy food) বিষয়ক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কেক থেকে ভোজ্য তেল অধিকাংশ সংস্থার কর্ণধাররাই ওয়ার্নিং লেভেল থাকার বিষয়ে তাঁদের আপত্তি না থাকার কথাই জানান। তবে প্রত্যেকেরই দাবি, এটা কেন্দ্রীয় সরকার আইন করে করুক। যাতে সব সংস্থাই তা মানতে বাধ্য থাকে। প্যাকেটজাত দ্রব্য খেয়ে মানুষেরও স্বাস্থ্যের ক্ষতি না হয়। এদিনের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কনজিউমার ভয়েসের প্রোজেক্ট হেড নীলাঞ্জনা বোস। কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন থেকে যায়, শুধু আইন করে প্রোডাক্টের প্যাকিং এর সময় সতর্কবার্তা লিখে দিলেই কি এই ধরণের খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমবে?


Previous articleসবারে আহ্বান: একুশের সমাবেশে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে অন্যান্য রাজনৈতিক দলকেও আহ্বান মমতার
Next articleBeauty tips: চোখের তলায় কালো দাগ, সমস্যা মেটান ঘরোয়া পদ্ধতিতেই