Monday, August 25, 2025

ওড়িশার রায়রংপুর থেকে রাইসিনা হিলস, কেমন ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর জার্নি?

Date:

প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি পেল দেশ। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর নাম ঘোষণা করে চমক দিয়েছিল এনডিএ। অন্যদিকে বিরোধী জোট প্রার্থী করেছিল যশবন্ত সিনাকে। যশবন্ত ভার্সেস দ্রৌপদীর লড়াইতে কে জিতবেন শেষ পর্যন্ত সেই নিয়ে সারা দেশ জুড়ে জল্পনার পারদ চড়ছিল। তবে শুরু থেকেই পাল্লা ভারী ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর দিকে। শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করলেন তিনি। ভোটে জিতে পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসে পৌঁছে গেলেন তিনি। কিন্তু জানেন কি কে এই দ্রৌপদী মুর্মু? কী তাঁর আসল পরিচয়? বিজেপি কেন তাঁকে প্রার্থী করল? তাছাড়াও ওড়িশার রায়রংপুর থেকে রাইসিনা হিলস কেমন ছিল দ্রৌপদী মুর্মুর জার্নি?

দেখে নেওয়া যাক এক নজরে –

দ্রৌপদী মুর্মু ১৯৫৮ সালে ২০ জুন ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইদাপোসি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম বিরাঞ্চি নারায়ণ টুডু। প্রথম জীবনে দ্রৌপদী পেশায় শিক্ষিকা ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টারের সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন তিনি।

দ্রৌপদী মুর্মুর রাজনৈতিক কেরিয়ার:

• কাউন্সিলর হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন দ্রৌপদী।

• ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওডিশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন দ্রৌপদী।

• পরবর্তীতে রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন। যে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে দু’বার ভোটেও জিতেছিলেন।

• ঝাড়খণ্ডের নবম রাজ্যপাল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু।

• তিনিই ঝাড়খণ্ডের প্রথম রাজ্যপাল যিনি পুরো মেয়াদ রাজ্যপাল হিসেবে ক্ষমতায় ছিলেন। অর্থাৎ যিনি পাঁচ বছরের কার্যকালের মেয়াদ পূরণ করতে পেরেছিলেন।

• ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন আদিবাসী নেত্রী।

• দ্রৌপদী মুর্মু ওডিশার প্রাক্তন মন্ত্রী ছিলেন।

• ২০০০ এবং ২০০৪ সালে তিনি বিজেডি (BJD) এবং বিজেপির (BJP) জোট সরকার থাকাকালীন মন্ত্রী হয়েছিলেন। পরিবহণ, পশুপালন এবং মৎস্য দফতরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ছিল তাঁর হাতে।

• ২০০০ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত রায়রাংপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন।

• এরপর ২০০৬ সালে ওড়িশা বিজেপির তফশিলি মোর্চার সভাপতি হন দ্রৌপদী।

• এরপর ২০০৭ সালে সেরা বিধায়ক হিসেবে তাঁকে পুরস্কৃত করে ওড়িশা বিধানসভা।

দ্রৌপদী নির্বাচনে জিতে ইতিহাস গড়লেন। প্রথম আদিবাসী মহিলা হিসেবে বসবেন রাষ্ট্রপতির আসনে। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ মনে করছে, উপজাতি গোষ্ঠীর কোনও কেউ রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ায় রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, তেলেঙ্গানা এবং জম্মু ও কাশ্মীর সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে জনগোষ্ঠীর সমর্থন বিজেপির প্রতি কিছুটা বাড়তে পারে। তবে যাই হোক না কেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে বেশ কয়েক মাস।

 

 

Related articles

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...

আধারের অভাবে রেশন বঞ্চনা নয়, কড়া নির্দেশ খাদ্য দফতরের 

আধার কার্ড না–থাকা বা বায়োমেট্রিক যাচাই না–হওয়ার কারণে আর কোনও বৈধ রেশন গ্রাহককে খাদ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত...

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে সমকামী সম্পর্ক-ব্ল্যাকমেইল! তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য

হাওড়ায় বৃদ্ধ খুনের নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য। হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার সালকিয়ার অরবিন্দ রোডের বাসিন্দা অসীম দে (Asim de) খুন...
Exit mobile version