বিদায়ী ভাষণে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার কথা বললেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

"আমার কার্যকালের পাঁচ বছরে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণন এবং ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের উত্তরসূরি হওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিলাম।

শেষ হল ৫ বছরের কার্যকালের মেয়াদ। জাতির উদ্দেশ্যে বিদায়ী ভাষণ দিলেন দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (Ramnath kovind)। রবিবার সন্ধে ৭টা থেকে সেই ভাষণ সম্প্রচারিত হয় । সোমবারই নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর(Draupadi) শপথ। তার আগে অবশ্য রাষ্ট্রপতি ভবনে ফেয়ার ওয়েল দেওয়া হয়েছে তাঁকে। বিদায় ভাষণে ভারতীয় সংস্কৃতিকে (Indian culture) রক্ষা করার কথাই শোনা গেল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মুখে।

শনিবারই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে বিদায় সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) , উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদরা। উপস্থিত ছিলেন দ্রৌপদী মুর্মুও। সোমবার দেশের ১৫ তম রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেবেন তিনি। বিদায় বেলায় রাষ্ট্রপতির (President) গলায় গান্ধীজির (Gandhiji) কথা। তিনি বলেন, “জাতীয় স্বার্থে (National Interest) দলীয় রাজনীতির (Partisan Politics) উর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে। জনকল্যাণের জন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত।” পাশাপাশি সংসদকে (Parliament) ‘গণতন্ত্রের মন্দির’ (Temple of Democracy) বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শনিবার বিদায়ী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Prime Minister Narendra Modi) ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি (Vice President) বেঙ্কাইয়া নাইডু (Venkaiah Naidu) ও লোকসভার স্পিকার (Speaker of Lok Sabha) ওম বিড়লাকে (Om Birla)। রবিবার বিদায়ী ভাষণে দেশের জনগণ ও জন প্রতিনিধিদের জন্যবাদ জানান রামনাথ কোবিন্দ । রবিবার সন্ধ্যায় বিদায় ভাষণে আবেগাপ্লুত হয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামীদের কথা, তাঁদের দেশপ্রেমের কথা উল্লেখ করে সকলকে সুস্থ ভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করার কথা বলেন।রামনাথ কোবিন্দ আরও বলেন, “নিজের শিকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকা ভারতীয় সংস্কৃতির একটি বিশেষত্ব। তাই যুব সম্প্রদায়ের কাছে নিজের গ্রাম, শহর, বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার এই পরম্পরাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

নিজের গ্রামের কথা, রাজনৈতিক উত্থানের কথা উল্লেখ করে সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি সবশেষে বলেন, “আমার কার্যকালের পাঁচ বছরে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ, ডাঃ এস. রাধাকৃষ্ণন এবং ডঃ এপিজে আব্দুল কালামের মতো মহান ব্যক্তিত্বদের উত্তরসূরি হওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন ছিলাম। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্কট আমাদের গ্রহের ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুতর বিষয় হয়ে উঠেছে। আমাদের শিশুদের স্বার্থে পরিবেশ, ভূমি, বায়ু এবং জল রক্ষা করতে হবে। আমি সকল দেশবাসীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ও ভারতমাতাকে নমস্কার জানিয়ে প্রত্যেকের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।”


Previous articleনীরজ চোপড়ার রপো পদক জয়, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleইতিহাস সৃষ্টির দোরগোড়ায় ঋষি সুনক