চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে শহরের রাজপথে মহামিছিল বামেদের

নিয়োগের দাবিতে চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নার বুধবার ছিল ৫০০ দিন । এখনও হয়নি নিয়োগ। এই অভিযোগে দুর্নীতিবাজদের গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চের অভিমুখে বুধবার বামফ্রন্টের ডাকে অনুষ্ঠিত হল মহামিছিল। শহরের রাজপথে মিছিল করে চাকরিপ্রার্থীদের পাশে থাকার আশ্বাস দিল বামেরা।এদিন শিয়ালদহ, পার্ক সার্কাস এবং হাওড়া এই তিন দিক থেকে মিছিল সম্মিলিত হয়ে ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের ধর্নামঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির সামনে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন ব্রামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহ: সেলিম, সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী, আভাস রায়চৌধুরী, রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পলাশ দাস, রবীন দেব, কনীনিকা ঘোষ বোস, সিপিআই নেতা প্রবীর দেব, মধুছন্দা দেব, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা হাফিজ আলম সৈরানি, সিআইটিইউ নেতা ইন্দ্রজিৎ ঘোষ সহ অন্যান্য বাম নেতৃত্ব।
রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন। মেধা তালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা ৫০০ দিন ধরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে উপেক্ষা করে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আন্দোলন করা সত্ত্বেও তাঁদের নিয়োগ হয়নি। এরই প্রতিবাদে এবং চাকরিপ্রার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য ফের পথে নামল বামফ্রন্ট।
এদিনের মিছিলে গোটা পার্কসার্কাস অবরোধ করেছিল বামেরা। তাঁদের অভিযোগ, দুপুর ২:৩০-র সময় মিছিল শুরু হওয়ার কথা ছিল কিন্তু পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে সঠিক সময়ে মিছিল শুরু করতে দেয়নি।
এদিন পার্ক সার্কাস থেকে মিছিলে হুইল চেয়ারে বসা অবস্থায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাজিয়ে আনা হয়েছিল এক ব্যক্তিকে। অনেকেই যা দেখে চমকে গিয়েছেন।সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। অজস্র টাকা দেশে-বিদেশে পাচার হওয়ার পরেও এই পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে । এই টাকা আসলে লুটের টাকা। তোলাবাজি-সহ অসহায় চাকরি প্রার্থীদের থেকে মোটা ঘুষ নেওয়া টাকা। সর্বত্র জমা করা হচ্ছে ।”
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মহম্মদ সেলিম বলেন, ”পার্থ পুরনো নোট বদলেছে। কলকাতা শহর আগে এতে নিষ্ঠুর ছিল না।  বিধানসভায় দুর্নীতির সরকার ও ধোকাবাজ বিরোধী। আমরা রাস্তায় আছি।”
সেলিম আরও বলেন, নারদা-সারদার সময়ও দেখেছি মুখ্যমন্ত্রী  কোনও ব্যবস্থা নেন না। মোদি, অমিত শাহকে ম্যানেজ করেন। আমরা চাই মানুষের আন্দোলনের চাপে, আদালতের চাপে সব চোর ধরা পড়ুক। আমলা হোক বা মন্ত্রী তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে।”

 

 

Previous article৩ ঘণ্টা সওয়াল জবাবের পর ইডির দফতর ছাড়লেন সোনিয়া
Next articleপ্রকাশ্যে ২ কোটি চাকরির ভাঁওতা, ৮ বছরের মোদি জমানায় চাকরি মাত্র ৭ লক্ষ