মিঠুনকে অবিলম্বে কেন গ্রেফতার করা উচিত? যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করলেন কুণাল

রাজ্য বিজেপি দফতরে বসে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেন, এখনই ভোট হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে

চিটফান্ড সংস্থা অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার মিঠুন চক্রবর্তীকে অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবি জানালো তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই দাবি জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, “চিটফান্ড চালানোর অভিযোগে যদি অ্যালকেমিস্টের মালিক কেডি সিংয়ের জেল হতে পারে, তাহলে ওই একই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়ে কীভাবে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?”

এখানেই শেষ নয়, ধান্দাবাজ মিঠুনকে তোপ দেগে কুণাল বলেন, “ওনার মতো বেইমানের মুখে এত কথা মানায় না। উনি অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার ও সারদার সুবিধাভোগী। তাই ওকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি কবে সারদার টাকা ফেরত দিয়েছেন? যতদিন রাজ্য সরকারের তদন্ত চলছিল উনি এক টাকাও ফেরত দেননি। পরে যখন ইডি কলার ধরেছে তখন টাকা ফেরত দিয়েছেন।”

কুণালের আরও সংযোজন, “শুনলাম মিঠুন চক্রবর্তী দিদি, ভাই, বোন নিয়ে কী সব বলেছেন। তিনি এই সব ভাই বোনের নামে কলঙ্ক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে যোগ্য সম্মান দিয়েছিলেন। রাজ্যসভার সাংসদ করেছিলেন। কিন্তু উনি মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে চলে যান। উনি সব জেনেশুনে একুশের নির্বাচনের আগে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক শত্রুদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যাবতীয় বিষোদগার, কুৎসা ও বিশ্বাসঘাতকার নজির রেখেছেন। এমন কাজ কেবল ওর মতো বেইমানের পক্ষেই করা সম্ভব। ওর মুখে ভাই – বোন শব্দগুলো তাই মানায় না।”

এদিন রাজ্য বিজেপি দফতরে বসে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেন, এখনই ভোট হলে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, “শুনলাম, এখন ভোট হকে কারা কত আসন পাবেন তা নিয়ে উনি কিছু বলেছেন। আর কতবার ভোট হবে? এই তো এক বছর আগে ভোট হল। তখন ওনার দল বিজেপির তামাম নেতারা ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করেও তো তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারলো না। এখন আবার বলছেন কারা না কজন নাকি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। উনি জানেন বাংলায় কটা বিধানসভা, কটা লোকসভা, আর কটা বিধায়ক, এসব খবর রাখেন তিনি? শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা বাংলার মানুষের পাশে থাকেন তিনি? অ্যালকেমিস্টের মামলায় তো ওনার জেল হওয়া উচিত। জেলে না থেকে উনি এখন অদ্ভূত সব জামাকাপড় পড়ে এসব বলে বেড়াচ্ছেন। আবার বলছেন, ওনার সঙ্গে নাকি এতজন যোগাযোগ রাখছে। তার মানে শুভেন্দুর প্রতি এতটা অনাস্থা। উনি তো আসলে দেখাতে চান শুভেন্দু বঙ্গ বিজেপির কেউ নয়, তাই সবার ওর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এতো ওদের দলের অন্দরের লড়াই। নাকি বিজেপির দিল্লির নেতারা শুভেন্দুকে চাপে রাখতে ওনাকে সামনে এগিয়ে দিচ্ছে। এটা বিজেপিকেই ঠিক করতে হবে।”

কুণালের দাবি, মিঠুন আর শুভেন্দুর পরস্পর বিরোধী মনোভাবে বঙ্গ বিজেপির অন্দরের ফাটল আরও স্পষ্ট হল।

আরও পড়ুন- Arpita Mukherjee: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২০ কোটিরও বেশি টাকা!

 

Previous articleArpita Mukherjee: অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২০ কোটিরও বেশি টাকা!
Next articleManik Bhattacharya: ১৪ ঘণ্টা পার, ইডির দফতর থেকে বেরোলেন মানিক ভট্টাচার্য