চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক, মুখোশ খুলে দিল বিরোধীদের, কুণালের তোপ

এসএসসি নবম-দ্বাদশ ২০১৬ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাঁর ক্যামাক স্ট্রিট অফিসে বৈঠকের হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও ছিলেন।

চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)  বৈঠক করতেই বিরোধীদের আসল মুখোশ খুলে গিয়েছে। কেন বললেন কুণাল (kunal ghosh)? পড়ুন ফেসবুকে (Facebook) তিনি যা লিখলেন…

এসএসসি নবম-দ্বাদশ ২০১৬ আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়েছে। তাঁর ক্যামাক স্ট্রিট অফিসে বৈঠকের হয়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও ছিলেন। অভিষেক এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী। এর বেশ কিছু প্রশাসনিক ও আইনি জটিলতা আছে। সেই জট কাটানোর পথ খোঁজা চলছে দুতরফেই। বৈঠকের গতিপ্রকৃতিকে আন্দোলনকারীরাও ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন। আগামী ৮/৮/২০২২ তারিখে পরবর্তী বৈঠক হবে ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) দফতরে। সেখানে কমিশনের চেয়ারম্যানও থাকবেন।

অভিষেক জট খুলতে উদ্যোগী হতেই গায়ে জ্বালা ধরেছে বিরোধীদের। বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তুলেছেন, অভিষেক রাজ্য সরকারের কেউ নন। তাহলে বৈঠক তাঁর সঙ্গে কেন? এই প্রশ্ন থেকে ঈর্ষাজনিত পোড়া গন্ধ আসছে।

জবাব-
১) অভিষেক জট খুলে প্রার্থীদের চাকরি দেওয়ার পথের সন্ধান করছেন। এখানে আপত্তি আর জলঘোলা করার মানে হল বিরোধীরা চায় না জট খুলুক। চাকরি হোক। এরা চায় চাকরির জটিলতা থাক এবং আন্দোলন চলুক। এই বিরোধীরা প্রার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করতে আগ্রহী। এদের মুখোশ খুলে গেল।

২) বৈঠক করেছেন অভিষেক। তিনি দলের নেতা। ব্রাত্য মন্ত্রী হলেও দলের নেতা। কুণাল ঘোষ দলের পদাধিকারী। কোনো অবস্থাতেই এই বৈঠকে সরকারি কোনো আধিকারিক, এমনকি চেয়ারম্যানও ছিলেন না। দলের তরফে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক জট কাটানোর বৈঠক করতেই পারেন। এটা তো সদিচ্ছা, আন্তরিকতার প্রমাণ। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর সঙ্গে যথাযথ যোগাযোগ রেখে তিনি আলোচনা শুরু করেছেন।

৩) বিজেপির সুকান্ত মজুমদারদের কথার জবাব- জে পি নাড্ডা দিল্লিতে বিজেপি পার্টি অফিসে সব বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের ডেকে বৈঠক করেছেন। বিদেশমন্ত্রীও ছিলেন। তাহলে ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে কথা বলার নাড্ডাজি কে? কেন বিজেপি অফিসে বৈঠক হয়েছিল? এরকম একগুচ্ছ উদাহরণ আছে।

৪) সিপিএমের সুজন, সেলিমদের বলব, হলদিয়া পেট্টোকেমে আসার পর্বে পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে বৈঠক চলছিল কেন? এই ধরণের গুচ্ছ বৈঠক পার্টির দফতরে আপনারা করতেন।

৫) কংগ্রেসের অধীরসহ বাকিরা ভুলে গেলেন, মনমোহন সিং জমানায় অভিযোগটাই ছিল কংগ্রেস সোনিয়াজির বাড়ি থেকে দল চালান। রাহুলজি প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত না মেনে নিজের মত চলেন।

এখানে আজ অভিষেক একটি অচলাবস্থার জট খুলতে হস্তক্ষেপ করেছেন। প্রার্থীরাও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। সমস্যার জটগুলি চিহ্নিত করা চলছে। যাঁর বা যাঁদের অন্যায় কাজে এই সমস্যা, তাদের শাস্তি হোক। বিরোধীরা সেই রাজনীতি করতে গিয়ে কর্মপ্রার্থীদের কাঁধে বন্দুক রাখছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে অভিষেক এই চাকরির জট খোলার চেষ্টা করছেন। শুক্রবার রাত পর্যন্ত তিনি এর বিভিন্ন আইনি বিষয় নিয়েও বৈঠক করেছেন। এই কাজটি অভিষেক যখন শুরু করেছেন তখন যাঁরা পদ্ধতি, স্থান, ব্যক্তি নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা চান জট থাক। চাকরি আটকে থাক। এঁদের মুখোশ খুলে গিয়েছে। যে বাম, বিজেপি, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বাংলাসহ দেশে বহু দুর্নীতি, নিয়োগ অনিয়ম, সস্তা রাজনীতির অভিযোগ আছে, তারা এখন তাদের প্রচারের রাজনীতির স্বার্থে অভিষেকের জট খোলার চেষ্টার বৈঠকের বিরুদ্ধে কথা বলতে মরিয়া। তৃণমূলের উদ্দেশ্য, আন্দোলনকারীদের যন্ত্রণার অবসান ঘটানো। বিরোধীদের উদ্দেশ্য, ওই যন্ত্রণা বহাল রেখে নিজেদের সংকীর্ণ রাজনীতি করা।


Previous articleArpita Mukherjee: এবার অর্পিতার নামে টেক্সটাইল সংস্থার হদিশ পেল ইডি
Next articleপার্থর আমলে সবুজসাথী প্রকল্পেও বেনিয়ম! “মাস্টার রোল”-এর সাহায্যে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ রাজ্যের