ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার গেরুয়া ষড়যন্ত্র, হিমন্তের সঙ্গে মিলে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন বাংলার বিজেপি নেতা!

হিমন্ত সাফ জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ রাখেন। তবে, এসবের পিছনে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মহারাষ্ট্রের ধাঁচে বিজেপি ‘মিশন’ ঝাড়খণ্ড ঘটাতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার গেরুয়া ষড়যন্ত্রে এবার নাম জড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতার। মহারাষ্ট্রের পর এবার গেরুয়া শিবিরের টার্গেট ঝাড়খণ্ড (Jharkhand)! সাম্প্রতিক ঘটনাক্রম দেখে সেটাই স্পষ্ট হচ্ছে। যে কোনও মূল্যে ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। আর এক্ষেত্রে মধ্যস্থতাকারী অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himant Biswa Sarma)। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। দিল্লিতে বসেই ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) জোট সরকার ভাঙার জন্য কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি (BJP)। খরচ করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকা। তবে এসবের মধ্যেই উঠে আসছে বাংলারই এক বিজেপি নেতার নাম। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই ওই বিজেপি নেতার নাম প্রকাশ্যে আনতে নারাজ রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।

গত শনিবার ঝাড়খণ্ডের অভিযুক্ত ৩ কংগ্রেস বিধায়ককে (Congress MLA) হাওড়ার পাঁচলা থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা-সহ গ্রেফতার করা হয়। কলকাতা থেকে গাড়িতে বিধায়করা মন্দারমণির দিকে যাচ্ছিলেন বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে ঠিক কী কারণে তাঁদের মন্দারমণি সফর? তা প্রকাশ্য করতে চায়নি সিআইডি।সিআইডি (CID) সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের প্রভাবশালী ওই বিজেপি নেতা মন্দারমণির কয়েকজন হোটেল মালিকের থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা একত্রিত করে ওই বিজেপি নেতা মন্দারমণিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুর হোটেলে ঝাড়খণ্ডের বিধায়কদের সঙ্গে ডিল ফাইনাল করতেই সেখানে ডাকেন বলে খবর। পূর্ব মেদিনীপুর তথা বাংলার এই বিজেপি নেতা বিগত এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব-সহ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তের সঙ্গেও কয়েকবার গোপনে বৈঠক করেছিলেন বলে সিআইডি (CID) সূত্রে খবর।

পুলিশের কাছে মুখ খুলেছেন ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক কুমার জয়মঙ্গল (Kumar Jaimangal) ওরফে অনুপ সিং। তিনি জানান, অভিযুক্ত ৩ কংগ্রেস বিধায়ক তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যান এবং ১০ কোটি টাকা ও মন্ত্রিত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকী, তাঁরা হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যান বলেও জানান জয়মঙ্গল। তবে, বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে হিমন্ত সাফ জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও তাঁর সঙ্গে রীতিমতো যোগাযোগ রাখেন। তবে, এসবের পিছনে রাজনীতির কোনও যোগাযোগ নেই। মহারাষ্ট্রের ধাঁচে বিজেপি ‘মিশন’ ঝাড়খণ্ড ঘটাতে চাইছে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।


Previous articleশহরে CID হানায় উদ্ধার লাখ লাখ টাকা! ঝাড়খণ্ডে ঘোড়া কেনাবেচার প্রাথমিক লেনদেন?
Next articleস্বাধীনতা দিবসের আগে বড় ঘোষণা স্কুল শিক্ষা দফতরের: স্কুলে গড়া হবে ‘জয় হিন্দ’ বাহিনী