“ইতিহাস বলছে, পূর্ব ভারত দিল্লির কাছে কোনওদিন বশ্যতা স্বীকার করেনি। বিহারে তৃণমূলের এখনও কোনও সাংগঠনিক উপস্থিতি নেই। তবে বিহারের এই রদবদলে বাংলার মানুষ খুশি হবেন। আসলে বিজেপির সঙ্গে জোটে কেউ টিকতে পারবে না। ওরা বড় মাছ, ছোট মাছকে গিলে খাচ্ছে। নতুন মৃগয়াক্ষেত্র হয়েছে অসম। সেখান থেকে অপারেট হচ্ছে এইসব কীর্তি কারবার। বিজেপি আঞ্চলিক দলের অস্তিত্ব বিপন্ন করতে চায়। ঘুরপথে সব দখল করাটাই বিজেপির উদ্দেশ্যে। এবার বুমেরাং হয়ে গিয়েছে।” বিহারের রাজনৈতিক পালাবদলকে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়।
আজ, মঙ্গলবার NDA দীর্ঘদিনের জোটসঙ্গী নীতিশ কুমার বিহারের রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দেন। দলের সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন নীতিশ কুমার। রাজভবন থেকে বেরিয়েই তিনি লালু প্রসাদ যাদবের বাসভবনে যান। এবার বিজেপিকে ব্রাত্য করে বিহারে তৈরি হতে চলেছে “মহাজোট” সরকার। বলা যায়, মহারাষ্ট্রের বদলা হয়ে গেল বিহারে।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, “বিজেপির মতো জোটসঙ্গী থাকলে কোনও রাজনৈতিক দলই নিশ্চিন্তে থাকতে পারে না। অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগবে। আসলে বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দলের অস্তিত্বেই বিশ্বাস করে না। ওরা সব আঞ্চলিক দলকে শেষ করে দিতে চায়। সেটা তাঁদের জোটসঙ্গী হলেও। বিজেপি জোটে কোনও দল থাকতে পারে না। অবিজেপি রাজ্যগুলির নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া তাদের লক্ষ্য। তার জন্য কোটি কোটি টাকার খেলা। তাই বিহারে বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দিতে এই ধরনের কিছু একটা ঘটবে সেটা প্রত্যাশিতই ছিল।”