‘ওঁর কথাতেই বেড রেস্টের পরামর্শ দিয়েছি,’ দাবি অনুব্রতর চিকিৎসকের

‘অনুব্রত মণ্ডলের কথাতেই তাঁকে ১৪ দিনের বেড রেস্টের পরামর্শ দেওয়া হয়’, এমনটাই বিস্ফোরক দাবি করলেন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। এমনকী তিনি এও জানান, হাসপাতাল সুপারের নির্দেশ মেনেই অনুব্রতর বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। সাদা কাগজেই তাঁকে প্রেসক্রিপশন লিখতে বলা হয়।

আরও পড়ুন:বুধেও নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিচ্ছেন না অনুব্রত

বহুদিন ধরেই ফিশচুলার সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত। সেইসঙ্গে বার্ধক্যজনিত একাধিক অসুবিধা রয়েছে তাঁর। গত সোমবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য SSKM হাসপাতালে বোলপুর থেকে কলকাতায় আসেন তিনি। চিকিৎসকেরা জানান, তিনি অসুস্থ ঠিকই , তবে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এরপর ফের মঙ্গলবার তাঁকে দেখতে অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছন বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। অনুব্রতকে দেখে তিনি বলেন, ‘‘ওঁর ফিশচুলার সমস্যা আছে। এছাড়াও হাইপারটেনশন ও বুকে সামান্য অসুবিধা রয়েছে তাঁর।”এমনকী এমতাবস্থায় কলকাতায় না যাওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।তবে মঙ্গলবার সকালে অনুব্রতকে দেখার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এইসমস্ত দাবি করলেও পরে বিরোধীরা প্রশ্ন করেন কেন মেডিক্যাল টিম নিয়ে অনুব্রতর বাড়িতে গেলেন চিকিৎসক?

প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী। জানান, “হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু  যা বলেছেন, তা-ই করেছি।’’ এমনকি, তিনি দাবি করেন, অনুব্রতের যে ‘বেড রেস্ট’ দরকার, সেটা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করেননি। তবে রোগীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে চিকিৎসক হিসেবে তাঁর মনে হয়েছে, অনুব্রতর বিশ্রাম প্রয়োজন। তিনি এ-ও জানান,‘‘আমি ডঃ বুদ্ধদেব মুর্মুকে বলেছিলাম যে, অনুব্রত-র নামে কোনও কাগজ হাসপাতাল থেকে ইস্যু করে দিন। উনি বলেছিলেন, কোনও কাগজের প্রয়োজন নেই। কোনও প্যাড নয়, সাদা কাগজেই প্রেসক্রিপশন লিখে দিন।’’ তবে হাসপাতালে দেখলে এই বিতর্ক হত না বলে দাবি চিকিৎসকের।

Previous article২০০০ সালে প্রথম, নজিরবিহীনভাবে ২২ বছরে অষ্টমবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নীতীশ
Next articleফের উর্ধ্বমুখী দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, আক্রান্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী